রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজনের করোনা শনাক্ত
প্রাণঘাতি করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রথম সারির যোদ্ধা পুলিশের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে রাজশাহেীতে।
সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) করোনা ল্যাবে প্রথম দফা নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে তার।
ওই পুলিশ কনস্টেবল জেলার তানোর থানায় কর্মরত। একই দিনই করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে তানোর থানার এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীর। এই দুজনে জেলায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লো ১৭ জনের।
রোববার এই দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রামেক ল্যাবে পাঠায় উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। সোমবার বিকেলে তাদের পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। রামেক করোনা ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ল্যাবে পাঁচজনের করোনা
শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পাবনার দুইজন এবং নাটোরের একজন। অন্য দুইজন রাজশাহীর তানোরের।
ল্যাবে আরও ২১৯ জনের নমুনা এসেছে পরীক্ষা জন্য। দুই শিফটে এখানে দিনে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা সম্ভব।
পুলিশ সদস্যসহ দুজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক।
তানোর থানা পুলিশর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসানও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ওসি বলেন, একজন কনস্টেবল, অন্যজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর করোনা পজিটিভ এসেছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
তাদের আইসোলেশনে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তানোরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো। তিনি বলেন, ওই দুজনের সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে
তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে।
গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীতে প্রথম করোনা ধরা পড়ে। সোমবার পর্যন্ত জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭ জনের। এদের মধ্যে ২৬ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। প্রথম দফায় তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেও মৃত্যুর আগের দিন দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় তার সংক্রমণ মেলেনি। এখনও রাজশাহী নগরীতে ধরা পড়েনি করোনা সংক্রমণ।
এর আগে সোমবার দুপুরের দিকে, রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, গত ১০ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা ধরা পড়েছে ১৫ জনের। এছাড়া জয়পুরহাটে ৩৪ জন, বগুড়ায় ২১ জন, নওগাঁয় ১৭ জন, পাবনায় ১১ জন, নাটোরে ৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুজন এবং সিরাজগঞ্জে দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী ছাড়াও নাটোরে মারা গেছেন এক করোনা রোগী। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বগুড়ার দুজন এবং পাবনার একজন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিভাগজুড়ে ৪২ জন।
এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় আইসোলেশনে পাঠানো হয় ১৯৩ জনকে। যাদের ১৩৫ জন আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় ২৪ হাজার ২৭৫ জনকে। যাদের ১৬ হাজার ৩৩৪ জন কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় আরও ৩৩৬ জনকে। এদের মধ্যে ১৪৫ জন ছাড়া পেয়েছেন।
ফেরদৌস/এমএএস/পিআর