আরেকজন সুস্থ হলেই লালমনিরহাট করোনামুক্ত
লালমনিরহাটে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নির্মাণশ্রমিক কামরুল ইসলাম ও তার সংস্পর্শে আসা সাত বছরের শিশুপুত্র সালমান হোসেন এখন করোনামুক্ত। টানা ২২ দিন করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তারা।
রোববার (০৩ মে) দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছেন লালমনিরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল হক।
জানা গেছে, লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের বাসিন্দা নারায়ণগঞ্জফেরত নির্মাণশ্রমিক কামরুল ইসলামের ১০ এপ্রিল করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তিনি জেলার প্রথম করোনা রোগী। এর তিনদিন পর তার সংস্পর্শে আসা সাত বছরের শিশুপুত্র সালমান হোসেনের শরীরেও করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। পরে তাদের লালমনিরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ২২ দিন করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তারা। রোববার তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, করোনাজয়ী বাবা-ছেলেকে ফুলেল শুভেচ্ছা বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দ্বিতীয় বার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। জেলার প্রথম ও দ্বিতীয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাবা-ছেলে এখন করোনামুক্ত।
প্রসঙ্গত, এ পর্যন্ত লালমনিরহাটে তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন সুস্থ হয়ে গেলেন। আরেকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সুস্থ হয়ে গেলেই লালমনিরহাট করোনামুক্ত।
মো. রবিউল হাসান/এএম/এমকেএইচ