কুমিল্লা থেকে বরেন্দ্র এলাকায় পাঠানো হলো আরও ১৩৫ শ্রমিক
কুমিল্লায় আটকে পড়া শ্রমিকদের চতুর্থ দফায় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্র এলাকায় ধান কাটার জন্য পাঠানো হয়েছে। রোববার (৪ মে) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ১৩৫ জন শ্রমিককে তিনটি বাসে করে নগরীর শাসনগাছা থেকে সেখানে পাঠানো হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণার পর গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব শ্রমিক কুমিল্লায় আটকা পড়েন। এ সময় শ্রমিকরা কোনো কাজ না পেয়ে অর্থ ও খাবার সংকটে পড়েছিলেন। দেশের কৃষি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ জেলায় আটকে পড়া কৃষি শ্রমিকদের সেখানে প্রেরণের জন্য আমরা সহযোগিতা করেছি। কারণ বরেন্দ্র ও হাওর এলাকায় পর্যাপ্ত কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, শিলা-বৃষ্টি ও ঝড়ে কৃষকের পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গিয়ে ধান কাটার কাজে নেমে পড়বেন।
গাড়িতে ওঠার আগে শ্রমিকরা প্রশাসনের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, করোনার কারণে আমরা বেকার হয়ে পড়েছিলাম। বাড়িতে পরিবারের জন্য অর্থ পাঠানো তো সম্ভবই হয়নি এর মধ্যে আমাদের খাবার সংকট দেখা দেয়।
পুলিশের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে শিবগঞ্জের কাউছার ও সোহেল জানান, একদিকে অর্থ সংকট অন্যদিকে পরিবহন সমস্যার কারণে তাদের এলাকায় যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। পুলিশের সহায়তায় তারা এখন এলাকায় গিয়ে ধান কাটার কাজ নেমে পড়তে পারবেন।
শ্রমিকদের গাড়িতে ওঠানোর আগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবানুনাশক স্প্রে করে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়াও থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রত্যেক শ্রমিকের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় করা হয় এবং তাদেরকে মাস্ক ও শুকনো খাবারের প্যাকেট প্রদান করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, আজিম উল আহসান, তানভীর সালেহীন ইমন, নাজমুল হাসান রাফী, ডিআইও-ওয়ান মো. মাঈনুদ্দিন, ডিবির ওসি আনোয়ারুল আজিম, কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ওসি মো. আনোয়ারুল হকসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কামাল উদ্দিন/আরএআর/এমকেএইচ