করোনাভাইরাসকে জয় করে বাসায় ফিরলেন ডা. কিশোর কুমার
করোনাভাইরাসকে জয় করে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কিশোর কুমার ধর বাসায় ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে তিনি করোনা থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়ে সন্ধ্যার পর পরিবারের কাছে ফেরেন।
গত ১৬ এপ্রিল ডা. কিশোর কুমার ধরের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ওইদিনই তাকে ভৈরবের করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ১৪ দিন ট্রমা সেন্টারে তিনি কোয়ারেইন্টানে ছিলেন। পরে পর পর দুবার তার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে বৃহস্পতিবার তাকে করোনামুক্ত বলে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
শুক্রবার (১ মে) সকালে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় ডা. কিশোর কুমার ধরের। তিনি বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ডাক্তার, পুলিশ, মন্ত্রী, ডিসি চেনে না। আমি মানুষের চিকিৎসা সেবা করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। আক্রান্ত হওয়ার পর কিছুটা ভয়ে ছিলাম। এখন মনে হচ্ছে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। যদিও আমার শরীরে করোনার কোনো সিমটম ছিল না। তারপরও পজিটিভ আসার পর স্থানীয় ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়ে ১৪ দিন বন্দি জীবনযাপন করেছি।
ডা. কিশোর কুমার ধর আরও বলেন, ডাক্তার হয়েছি শুধু টাকা কামানোর জন্য নয়, মানুষের সেবা দেয়াও আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। দায়িত্ব পালন কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। আক্রান্তের পর আমার পরিবারও খুব চিন্তায় ছিল। এখন বিধাতার দয়ায় সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারসহ ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত হন। তার মধ্য ডা. কিশোর কুমার প্রথম করোনামুক্ত হয়েছেন। বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন। জনগণের সেবা দিতে গিয়েই ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও যদি কেউ বলেন ডাক্তাররা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দিচ্ছেন না তখন আমাদের মনে কষ্ট লাগে। করোনার মধ্যে ডাক্তারসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন।
আসাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর/জেআইএম