ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

১০ হাজার পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা দিলেন মেয়র

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) | প্রকাশিত: ১০:৩২ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. লুৎফুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের ১০ হাজার দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন। প্রতিটি পরিবারকে নগদ ৫০০ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।

জানা গেছে, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ বাংলাদেশেও মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মেনে যারা ঘরে রয়েছেন সেসব কর্মহীন মানুষগুলোর সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। কেউ কেউ আবার ব্যক্তি উদ্যোগেও এগিয়ে এসেছেন। তেমনি কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. লুৎফুর রহমান এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় কর্মহীন পরিবারগুলোর সহায়তায়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী মধ্যপাড়া গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের ২৫০টি পরিবারকে নিজ হাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আর্থিক সহায়তা তুলে দিচ্ছেন মেয়র।

কথা হয় পৌর এলাকার ভাদার্ত্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামের ফাইজ উদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, কালীগঞ্জ পৌর মেয়র প্রকৃতপক্ষেই একজন মানবিক মানুষ। তিনি শুধু এই করোনা মহামারিতে নয়; সবসময় পৌর এলাকার যেকোনো ওয়ার্ডের, যেকোনো গ্রামের মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন।

তার মতো একই কথা বললেন দুর্বাটি গ্রামের নাছির উদ্দিন, চৌড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিন ও দেওয়ালেরটেকে গ্রামের কাদির কালু।

এ বিষয়ে মেয়র বলেন, করোনায় দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য এবং অসহায় মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পৌর এলাকার কোনো মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে থাকলে আমি ভালো থাকতে পারি না। তাই পৌর এলাকার কোনো মানুষই অনাহারে-অর্ধাহারে থাকবে না। মানবিক কারণে আমি আমার ব্যক্তিগত চেষ্টায় এগিয়ে এসেছি দুস্থ, অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে থাকার জন্য। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করব এই দুঃসময়ে পৌরবাসীর পাশে থাকার।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে কালীগঞ্জ পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দুস্থ, অসহায় ও দরিদ্র সাড়ে চার হাজার পরিবারের মধ্যে এ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের সবকটি গ্রামে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার পরিবারের হাতে এ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। ১০ হাজার পরিবারের বাইরেও যদি কোনো পরিবার বাদ যায় তাহলে তাদেরও এই আর্থিক সহায়তার আওতায় আনা হবে।

আব্দুর রহমান আরমান/এএম/পিআর