দৌলতদিয়ায় বিআইডব্লিউটিসির আরও ৩ কর্মচারীর করোনা পজিটিভ
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলা দৌলতদিয়া ঘাট। প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে হাজার যানবাহন ও লক্ষ লক্ষ যাত্রী নদী পারাপার হয়।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলমান লকডাউনের কারণে যদিও যানবাহন ও যাত্রী পারাপার সীমিত করা হয়েছে। তারপরও থেমে নাই জরুরী পন্যবাহি ও ব্যক্তিগত ছোট যানবাহনের সাথে যাত্রী পারাপার। গার্মেন্টস খোলার সুবাধে গত কয়েকদিন সামাজিক দূরত্ব না মেনে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে গাদাগাদি করে পারাপার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে চলতি মাসের ২৬ এপ্রিল প্রথম দফায় ২ জন এবং ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ৩ জন দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ঘাটে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, তার উপজেলায় আজ ৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। আজ পর্যন্ত উপজেলার ৭৭ জনের জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে ৪৯ জনের রিপোর্ট পেয়েছেন। যারমধ্যে ৫ জনের করোনা পজিটিভ। এরা সবাই দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির কর্মচারী। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের আইসোলেশনে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত এক কর্মকর্তা বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আজ একে একে তাদের ৫ জন কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন কার মধ্যে কি আছে বোঝা মুশকিল। ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার যাত্রী নদী পারাপার হচ্ছে। এতে তো আরও ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এক দিকে গার্মেন্টস খোলা, অন্যদিকে সামাজিক দূরত্ব নিয়ে নিশ্চিত করতে বলা হচ্ছে। আসলে এখন যে পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে দৌলতদিয়া ঘাট পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দিয়ে ঘাটে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত। তা ন হলে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল থেকে রাজবাড়ী জেলা পুরো লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী রাজবাড়ীতে এখন পর্যন্ত ৬৬৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রিপোর্ট পেয়েছেন ৫১৪ জনের। এরমধ্যে ১৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৬ জন এবং ২ জন আছে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির আক্রান্ত ২ কর্মী আছে তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে।
রুবেলুর রহমান/এমএএস/এমকেএইচ