ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিলেন ঢাকামুখী হাজারো গার্মেন্টসকর্মী
সীমিত আকারে পোশাক কারখানা চালুর ঘোষণা দেয়ার পর মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ঢাকামুখী শ্রমিকদের ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ।
চতুর্থ দিনের মতো শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে ট্রলার ও ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন ঢাকামুখী হাজারো পোশাককর্মী।
এর আগে বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রো-রো ফেরি শাহ পরাণ ও ডাম্প ফেরি রামশিংয়ে করে অন্তত কয়েক হাজার পোশাককর্মী পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটে পোশাককর্মীদের ভিড়। অন্তত কয়েক হাজার পোশাককর্মী ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যেতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে তাদের। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে ট্রলার ও ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফেরি ও ট্রলারযোগে কয়েক হাজার গার্মেন্টসকর্মী গন্তব্যে গেছে। গত চারদিন ধরেই এই ভিড় রয়েছে ঘাটে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষের ঢল নেমেছিল।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদ বলেন, এই রুটে এখন ছয়টি ফেরি চলছে। ফেরিতে খুব বেশি মানুষ পার হচ্ছে না।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমজীবী মানুষের বেশ ভোগান্তি হচ্ছে। তারা মিশুক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। তবে এসব যানবাহন এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে পারে না। অনেক পথ ঘুরে তারা ঢাকার কাছাকাছি যায়। সেখান থেকে বাহন পাল্টে তাদের গন্তব্যে যেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ কমতে থাকে। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে যে সাতটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে যায় সেখানে প্রতি ফেরিতে আনুমানিক ২৫০ জন মানুষ পার হতে পারে। শিমুলিয়া ঘাটে তেমন কোনো যানবাহন নেই নদী পার হওয়ার জন্য। জরুরি যেসব যান আসে তা ফেরিতে তুলে দেয়া হয়। দিনের চেয়ে রাতেই পণ্যবাহী যান বেশি আসে। এখন ঘাটে গাড়ি নেই বললেই চলে। তবে যাত্রীদের অধিকাংশই গার্মেন্টসকর্মী।
নুপুর/এএম/এমকেএইচ