১০ উপজেলার কৃষকের ধান কেটে দেবেন আনসার সদস্যরা
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে কৃষকের মাঠেও। এবার বোরো ফসলের ভালো ফলন হলেও করোনার কারণে ধান কাটা শ্রমিকের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়ভাবে যেসব শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে তাতে কৃষকদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। ফলে ফলন ঘরে তোলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এমন টানাপোড়েনে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন আনসার সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) আনসারদের ৪০ সদস্যের একটি দল পূর্বধলা উপজেলার আগিয়া ইউনিয়নের খারছাইল গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক ও রুকু মিয়ার ১১০ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন।
সকালে ধান কাটা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা আনসার ব্যাটালিয়ন-৬-এর পরিচালক ও আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মো. জিয়াউল হাসান।
জিয়াউল হাসান বলেন, করোনার সঙ্কটে শ্রমিকের অভাবে কোনো কৃষকের ধান যেন ক্ষেতে পড়ে না থাকে সে লক্ষ্যে জেলার ১০ উপজেলায় আনসার সদস্যরা দলবেঁধে স্বেচ্ছায় মাঠে গিয়ে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন। ধান কাটা শেষ না পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে বর্তমানে শ্রমিকের শঙ্কট। বেশি টাকায় শ্রমিক নিতে হচ্ছে। ফলে বেশি টাকা দিয়ে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে সব কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেব। এতে কৃষকরা খুশি হবেন। আমরা তাদের মুখের হাসি ধরে রাখতে চাই। আজ মোহনগঞ্জ ও পূর্বধলায় আনসার সদস্যরা কৃষকের ধান কেটে দিয়েছেন।
কামাল হোসাইন/এএম/পিআর