মধ্য রাতে অভুক্ত নারীর ফোন পেয়ে খাবার নিয়ে হাজির এমপি
‘স্যার আমার স্বামী মারা গেছে দুই বছর আগে। বাবার বাড়ি থাকি। বাবা ঘরে অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছে। ঘরে আমার দুই বছরের শিশু। গত তিনদিন ধরে খাবারের কোনো ব্যবস্থা হয়নি। আমরা না খেয়ে আছি।’
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের মোবাইল ফোনে কল করে এসব কথা বলেন ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চাঁন মিয়া মাঝির বাড়ির রিনা বেগম (২৫)।
রিনা বেগমের কথা শুনে স্থির থাকতে পারেননি এমপি শাওন। ৩০ মিনিটের মধ্যে খাবার নিয়ে দ্রুত ছুটে যান রিনা বেগমের বাড়িতে। গ্রামের দুর্গম রাস্তা দিয়ে হেঁটে হাজির হন তার বাড়িতে। এমপি শাওনের খাবার নিয়ে হাজির হওয়া দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেন রিনা বেগম।
এ সময় এমপি শাওন রিনা বেগমের পরিবারকে ৫ কেজি চিড়া, ৫ কেজি ছোলা, ৫ কেজি চিনি, ৫ কেজি মুড়ি, ৫ কেজি খেজুর, ২ প্যাকেট শিশুর দুধ ও নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও রিনা বেগম ও তার অসুস্থ বাবাকে রেশন কার্ড প্রদান করেন।
রিনা বেগম জানান, তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি বাবার বাড়ি থাকেন। তার কোনো ভাই বোন নেই। বাবা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ। তিনিই সংসারে উপার্জনের এক মাত্র ব্যক্তি। এ অবস্থায়ও তিনি কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু করোনার কারণে কাজ না থাকায় সংসার চলছে না। সরকারি যে সাহায্য পেয়েছেন তা তিন দিন আগে শেষ। যে কারণে তিন দিন ধরে খাবারের ব্যবস্থা হয়নি তাদের।
তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি এমপি শাওন গরিবের এমপি। এখন নিজেই দেখলাম তিনি আমাদের মত গরীরেরই এমপি। আল্লাহ তাকে দীর্ঘ দিন যেন বাঁচিয়ে রাখেন এই দোয়া করি।
এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মানুষের পাশে রয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিনের ৫ লাখ মানুষের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকবো। আমার জীবন থাকতে কেউ না খেয়ে থাকবে না। এ জন্য আমি কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ যত রাতেই আমাকে ডাকবে আমি সাড়া দিব। আমি তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। তাদের সেবাই আমার মূল লক্ষ।
জুয়েল সাহা বিকাশ/আরএআর/জেআইএম