ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনায় আক্রান্তকে ফোন করে ডিসি বললেন পাশে আছি

জেলা প্রতিনিধি | সাতক্ষীরা | প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০২০

সাতক্ষীরায় এই প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থেকে অফিসে যাতায়াত করতেন তিনি। তার বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে।

শনিবার সন্দেহজনক তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এরপর তিনি কর্মস্থল থেকে সাতক্ষীরা শহরে ফেরেন। রোববার সকালে পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। দুপুর ২টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াতের নেতৃত্বে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে একটি মেডিকেল টিম।

সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, পরীক্ষার পর ওই ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ না থাকায় হোম আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নিয়মিতভাবে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে তাকে হাসপাতালে নেয়া হবে।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, পৌরসভার উত্তর কাটিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোকেয়া নার্সের বাসার দোতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে অবস্থান করছেন আক্রান্ত ওই ব্যক্তি। তার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটা বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় আক্রান্তের খবর শুনে তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সাহস জোগান সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে ডিসি বলেন দুশ্চিন্তা নেই, পাশে আছি।

ডিসি মোস্তফা কামাল বলেন, করোনায় আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মী যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে চাকরি করেন এবং সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। গতকাল যশোরে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে সাতক্ষীরা চলে আসেন। রোববার তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।

তিনি বলেন, আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি যেন মানসিকভাবে চাঙা থাকেন। তাকে দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শ দিয়েছি। বলেছি, দুশ্চিন্তা নেই, তোমার পাশে আছি। ইতোমধ্যে ওই বাড়িসহ তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে। সিভিল সার্জনকে অনুরোধ করেছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তার পুনরায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে। জেলাবাসীকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে না আসতে আবারও অনুরোধ করছি।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যারা জেলার বাইরে সরকারি বা বেসরকারি চাকরি করেন। তারা তাদের কর্মস্থলে থেকে দায়িত্বপালন করবেন। তাদের যাতায়াত পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো। নির্দেশনা উপেক্ষা করলে চেকপোস্ট ও পুলিশি টহলে পড়লে আটক করা হবে।

আকরামুল ইসলাম/এএম/পিআর