ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভৈরবে ১০ হাজার পাদুকা কারখানা বন্ধ, লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) | প্রকাশিত: ০৮:৩৮ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাদুকা কারখানা ও পাইকারি মার্কেট গত একমাস ধরে বন্ধ। এখানে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কারখানা রয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করেন। পাদুকা কারখানাকে কেন্দ্র করে ভৈরবে ১০টি পাইকারি মার্কেট গড়ে উঠেছে। পাদুকার উৎপাদন ও মার্কেট বন্ধ থাকায় লক্ষাধিক শ্রমিক ও কর্মচারীর জীবনে নেমে এসেছে চরম হতাশা।

রোজা শুরু হয়েছে। একমাস পরই ঈদুল ফিতর। রোজার শুরুতেই পাদুকার বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়। এর একমাস আগেই পাদুকা কারখানাগুলোর উৎপাদন ২-৩ গুণ বেড়ে যায়। কারণ এ সময়টাতে পাদুকার চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জেলার পাদুকা ব্যবসায়ীরা ভৈরবে আসেন। এখানকার পাইকারী মার্কেট থেকে তারা পাইকারি দরে লাখ লাখ টাকার পাদুকা নিয়ে যান।

ভৈরব উপজেলা সংলগ্ন হাজি ফুল মিয়া মার্কেটটি পাদুকার বৃহৎ মার্কেট। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর রমজানের শুরুতেই বেচাকেনার ধুম পড়ে মার্কেটগুলোতে। স্থানীয় পাদুকা কারখানায় ব্যাপকভাবে চলে উৎপাদন।দোকানগুলোতে চাহিদা মতো পাদুকা সাপ্লাই দেয়া হয়। ভৈরবে উৎপাদিত পাদুকা মানের দিক দিয়ে উন্নত। ভারত, বার্মা ও চাইনার উৎপাদিত পাদুকার মতই এখানকার কারখানায় পাদুকা উৎপাদন হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

পাদুকাকে কেন্দ্র করে ভৈরবে প্রায় দেড় লাখ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রোজার মাসের আয়-উপার্জন দিয়ে তারা সারা বছর বেঁচে থাকেন। একমাস যা আয় করেন তা দিয়েই ১১ মাস ভালোভাবে সংসার চালাতে পারেন বলে জানান পাদুকা ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

juta1

করোনাভাইরাসের কারণে গত একমাস যাবত ভৈরবের সব কারখানা বন্ধ। শুধু তাই নয় পাইকারি মার্কেটগুলোও বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থায় পাদুকা মালিক, শ্রমিক ও কর্মচারীরা চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। শ্রমিকদের অনেকের ঘরে খাবার নেই। নেই কোনো কাজ। কাজ না করলে মালিকরা কোনো বেতন-ভাতা দেন না বলে জানান একাধিক শ্রমিক।

ভৈরব পাদুকা মালিক সমিতির সভাপতি মো. আল-আমিন জানান, করোনার কারণে পাদুকা ব্যবসায় এবার ধস নেমেছে। কারখানায় নেই কোনো উৎপাদন, দোকানে নেই কোনো বেচাকেনা। সবই বন্ধ। এতে ভৈরবের লক্ষাধিক মালিক, কর্মচারী ও শ্রমিক এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কিন্তু পাদুকা শিল্পের শ্রমিকরা প্রণোদনার আওতায় কি-না আমরা জানি না। অবিলম্বে পাদুকার দোকান ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

পাদুকা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ মিয়া বলেন, রমজান মাসেই আমরা প্রচুর বেচাকেনা করি। করোনায় পাদুকা শিল্প ধ্বংস হওয়ার পথে। এখন লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী মালিক সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন।

আসাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর/এমএস