ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা রোগীদের জন্য আদা-রসুন-লবণ পানির ব্যবস্থা করলেন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | বরিশাল | প্রকাশিত: ০১:৩২ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০২০

বরিশালের সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনো ধরনের সংকট থাকলে তা চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার আগেই পরিস্থিতি মোকাবিলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা সরঞ্জাম বা চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রের স্বল্পতা থাকলে তা সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে। সমস্যাগুলো যত দ্রুত চিহ্নিত করুন; সেই সঙ্গে সমস্যাগুলো দ্রুত জানালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন মহলে উপস্থাপন করা যাবে। কোনো বিষয়কে অবহেলা করলে চলবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরিশাল নগরীর রেস্ট হাউসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সভার শুরুতে প্রতিমন্ত্রী শামীম বলেন, চিকিৎসকদের জন্য সুখবর রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছয়টি মাইক্রোবাস দেয়া হয়েছে। যা চিকিৎসকদের আনা-নেয়ার কাজে ব্যবহৃত হবে। হিজলা, মুলাদি ও উজিরপুর উপজেলার চিকিৎসকদের জন্য আরও তিনটি মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী শামীম বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। গরম পানির বাষ্প, আদা চা ও লবণ দিয়ে গরম পানির গড়গড়া করলে করোনার ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। এ জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রোগীদের জন্য দিনে চারবার গরম পানি দিয়ে গড়গড়া এবং আদা-রসুন ও লবণ পানি দিয়ে চা পানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ থেকেই করোনার রোগীদের গরম পানি দিয়ে গড়গড়া এবং আদা-রসুন ও লবণ পানি দিয়ে চা দেয়া হবে।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অসিত ভূষণ দাস, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বরিশাল বিভাগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সর্বশেষ প্রস্তুতি, আক্রান্তদের চিকিৎসা, আক্রান্ত চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বর্তমান অবস্থা, আরটি-পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষা কার্যক্রম এবং অন্যান্য রোগীর চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

সাইফ আমীন/এএম/বিএ