ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

লকডাউনে জরুরি সেবার গাড়ি জীবাণুমুক্ত করছে সেনাবাহিনী

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০২:৩৩ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২০

বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশেও জেঁকে বসেছে। দিন দিন বাড়ছে প্রাদুর্ভাব। করোনাভাইরাস মোকাবিলাকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই যুদ্ধে জয়ী হতে সেনাসদস্যদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান। এরই অংশ হিসেবে মার্চের শেষ সময় থেকে বেসমারিক প্রশাসনকে সহায়তায় কক্সবাজারের মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছে সেনাবাহিনী রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন। কক্সবাজারের পাশাপাশি চট্টগ্রামের চার উপজেলায়ও একইভাবে কাজ করছেন ১০ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা।

গত ৮ এপ্রিল থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউনের পর থেকে সেনাসদস্যরা দিনরাত একসঙ্গে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা।

গত ২১ দিনে প্রায় ৫০০ সন্দেহভাজন ব্যক্তির করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত তিন সপ্তাহের পরীক্ষায় পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এরপর থেকে বাইরের লোকজন কক্সবাজারে ঢোকা কঠোরভাবে বন্ধে কাজ করছে প্রশাসন।

কক্সবাজারের প্রবেশপথ লোহাগাড়া-চকরিয়া সীমান্তে সেনাসদস্যরা অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কিন্তু জরুরি মালামাল নিয়ে আসা যানবাহনগুলো বাধ্য হয়ে প্রবেশ করাতে হয় জেলায়। এসব গাড়ির মাধ্যমে করোনাভাইরাসের উপসর্গ যাতে আসতে না পারে সেজন্য জরুরি মালামাল পরিবহন করা যানবাহনগুলো জীবাণুমুক্ত করে ঢোকাতে বিশেষায়িত একটি বুথ নির্মাণ করেছে সেনাবাহিনী।

wash2

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুথের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি। এ সময় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পাশাপাশি কক্সবাজার এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী।

সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ‘আপনার সুস্থতাই আমাদের কাম্য’ প্রতিপাদ্যে সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের জন্য নির্ধারিত রেশনসামগ্রীর একাংশ বাঁচিয়ে খেটে খাওয়া, হতদরিদ্র, কর্মহীন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও আটা। লকডাউন পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষের সংকট দূর করতেই সেনাবাহিনীর এই প্রচেষ্টা।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/জেআইএম