ইউপি ভবনে যুবককে নির্যাতনের প্রমাণ পায়নি তদন্ত কমিটি
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আশেকে এলাহী নামের এক যুবককে চেয়ারম্যান কতৃক নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা মেলেনি। এর আগে আশেক এলাহী নামের ওই যুবককে চেয়ারম্যান ডেকে এনে মারধরের একটি ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়নি।
মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাকিব হাসান। তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আশেকে এলাহীকে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে মারধরের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়নি। বরং তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে বহিরাগত লোকজন তাদের বাঁধা দেয় ও তাদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই ইউনিয়নে সরকারি ত্রাণ কিংবা খাদ্য সহায়তা বিতরণে এ পর্যন্ত কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়নি।
এর আগে এ বিষয়টি নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার এক সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি জানান, স্থানীয় যুবক আশেকে এলাহী নিজেই ৭৯ জনের ত্রাণের তালিকা তৈরি করেন ও আমার নামে বিভিন্ন জনের কাছে বিষাদগার করেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গত ১১ এপ্রিল তাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে আনা হয়। এ সময় তাকে আমি মারধর করিনি, তার নিকট আত্মীয়রাই তাকে শাসন করে পরিষদ থেকে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালায় প্রতিপক্ষ একটি চক্র।
এ সময় ত্রাণ কিংবা সরকারি অনুদান বিতরণে কোনো অনিয়ম করেননি বলেও জানান তিনি। কেউ অনিয়ম প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগের ঘোষণাও দেন চেয়ারম্যান।
ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের সদস্য হুমায়ুন কবির সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, কবির হোসেন খন্দকার, শাহাদৎ হোসেন, মোকবল হোসেন, কামাল উদ্দিন, জাকির হোসেন, আবু তাহের সরকার, মঈনুল হক মুন্না, মহিলা সদস্য মিনুয়ারা বেগম, মঞ্জুয়ারা বেগম ও তাছলিমা বেগম।
কামাল উদ্দিন/এফএ/এমএস