সিলেটে করোনা পজিটিভ শুনে পালানো ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি
সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত টমটম চালককে হাসপাতালে ভর্তির পর তার শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের আট সদস্যের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রয়োজনে নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বাড়তে পারে।
সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আক্রান্ত টমটম চালকের কথামতো তার পরিবারের আটজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও তার পরিবারের সদস্য ও যারা তার সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে খাদিমপাড়া ইউনিয়নের টিকরপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বসবাসকারী ৩৭ বছর বয়সী টমটম চালকের করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই তিনি পালিয়েছিলেন। পরে সোমবার (২০ এপ্রিল) ভোররাত ৪টার দিকে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে আরও ৩৬৮ জনকে। আর এই ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ১৭২ জনকে। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন তারা।
ডা. আনিসুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখাদের মধ্যে সিলেটে ১৩ জন, সুনামগঞ্জে ৩০৯ জন, হবিগঞ্জে ২১ জন এবং মৌলভীবাজারে ২৩ জন রয়েছেন। আর কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পাওয়াদের মধ্যে সিলেট জেলায় তিনজন, সুনামগঞ্জে ৬৪ জন, হবিগঞ্জে পাঁচজন এবং মৌলভীবাজারে ১০১ জন রয়েছেন। এছাড়াও সিলেট বিভাগে সর্বমোট কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৬০ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২১০ জন, সুনামগঞ্জে ১৪৮১ জন, হবিগঞ্জে ৮৯৪ জন ও মৌলভীবাজারে ৪৭৫ জন।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস