বরিশাল মেডিকেলের ৩ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২০ জনে। এদের মধ্যে পাঁচজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, একজন মেডিকেল কলেজের ছাত্র, তিনজন নার্স ও হাসপাতালের পাঁচজন কর্মচারী রয়েছেন।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন।
তিনি বলেন, মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসক করোনা ইউনিটে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন। সন্দেহ হলে তার নমুনা পরীক্ষার পর শনিবার রাতে রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
অন্যদিকে, মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের এক ছাত্র জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রন্ত হন। শুক্রবার ওই ছাত্রের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। গত কয়েকদিন তাকে সেবা দেয়া কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের নমুনা পরীক্ষার জন্য মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার রাতে তাদের রিপোর্ট পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দুই ইন্টার্নসহ তিন চিকিৎসককে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এর আগে মেডিকেলের করোনা ইউনিটের এক নার্সের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ পাওয়া গেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, জেলায় শনিবার রাত পর্যন্ত ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক ছাড়াও আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক দম্পতি রয়েছেন। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের এক ছাত্র, মেডিকেলের করোনা ইউনিটের একজন নার্স, বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন নার্সসহ পাঁচজন কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডা. মনোয়ার হোসেন বলেন, জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বাবুগঞ্জে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এই উপজেলায় আক্রান্ত আটজন। তাদের মধ্যে বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইজন নার্সসহ পাচঁজন কর্মচারী রয়েছেন। এছাড়া গৌরনদীতে তিনজন, বাকেরগঞ্জ, মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদী উপজেলায় একজন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই চিকিৎসক দম্পতি এবং মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের এক ছাত্রকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় শনিবার সকালে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এএম/এমএসএইচ