করোনায় আক্রান্ত মা, নবজাতক ও স্বামীর রিপোর্ট নেগেটিভ
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মায়ের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। করোনা শনাক্তের পরপরই তাকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার নবজাতক শিশুকে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সুরক্ষিত রেখেছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি ওই নবজাতকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে নবজাতক শিশুটির করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগেই ওই নবজাতক শিশু ও তার বাবার শরীরের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। করোনা পরীক্ষায় ওই নবজাতক ও তার বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অথচ প্রথম দিকে চিকিৎসকরা ধারণা করেছিলেন ওই নারী তার স্বামীর মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু তার স্বামীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ওই নারী কার সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন তা নিশ্চিত হতে পারেননি চিকিৎসসকরা।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত প্রসূতি ওই নারী এখনও শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা ওই নারী গর্ভবতী অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চারদিন আগে তিনি সন্তান প্রসব করেন। এরপর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে গত ১২ এপ্রিল ওসমানী মেডিকেল কলেজে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল তার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন অহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে করোনায় আক্রান্ত প্রসূতি ওই নারীর সংস্পর্শে আসা ১৯ জন চিকিৎসকসহ মোট ৪৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ জন চিকিৎসক ছাড়াও ১৪ জন নার্স ও হাসাপাতালের ১১ জন স্টাফ রয়েছেন।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস