বগুড়ায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্য, আদমদীঘি লকডাউন
বগুড়ায় প্রথমবারের মতো এক পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৮ বছর বয়সী ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি জেলার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের শাঁওইল গ্রামে। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত। করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর রাতেই তাকে বগুড়ায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আদমদীঘি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান জানান, ঢাকায় কর্মরত ওই পুলিশ কনস্টেবল গত ১০ এপ্রিল গ্রামের বাড়িতে আসেন। তার তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। শুধু কাশি ছিল। তাই কাশির ওষুধ নেয়ার জন্য তিনি ১৩ এপ্রিল আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছিলেন। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওইদিন তার নমুনা সংগ্রহ করে পরদিন বগুড়ায় পাঠানো হয় এবং তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, আদমদীঘির ওই ব্যক্তির নমুনা বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আজ জানানো হয় ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ। অর্থাৎ তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
করোনায় আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্য জানান, তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত। এর আগে তিনি জামালপুরে র্যাবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকায় ডিএমপিতে যোগ দেন।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। আমি সুস্থ আছি।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিকে রাতেই বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আদমদীঘি উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে রংপুর ফেরার পথে বগুড়ায় মহাস্থানে নেমে পড়া রংপুরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে বর্তমানে বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির চতুর্থ দফা পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তিনি এখন সুস্থ।
আরএআর/এমএস