ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর হাসপাতাল হচ্ছে করোনার চিকিৎসাকেন্দ্র
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল বা জেলা সদর হাসপাতালকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে কমিটির সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে শুধুমাত্র করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হবে। আর সদর হাসপাতালের কার্যক্রম জেলা সদরের ঘাটুরাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। এটি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ বলেন, জেলা সদর হাসপাতালটিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসাকেন্দ্র করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এজন্য সদর হাসপাতালের কার্যক্রম আমার এখানে স্থানান্তরের ব্যাপারে আমাকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আমার আর্থিক ক্ষতি হবে জেনেও সবদিক বিবেচনা করে প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ে লিখিত আকারে প্রস্তাব পাঠানোর পর অনুমোদন দিলে এবং যদি পরিস্থিতি খারাপ হয় তাহলে হাসপাতালের কার্যক্রম স্থানান্তর করা হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। সেজন্য বড় একটি হাসপাতালকে করোনভাইরাসের চিকিৎসাকেন্দ্র করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ছোট-খাটো ক্লিনিকে সদর হাসপাতালের কার্যক্রম স্থানান্তর সম্ভব নয়, সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর অনুমোদন পেলে কার্যকর হবে। সদর হাসপাতালকে প্রস্তুত করার জন্যও অনেক আয়োজনের বিষয় আছে। সেগুলোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ জন। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকিরা আইসোলেশনে রয়েছেন।
আজিজুল সঞ্চয়/এএম/পিআর