২৮ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দিলেন যুবলীগ নেতা
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় কালোবাজারে বিক্রি হওয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে স্থানীয়রা। রোববার (১২ এপ্রিল) সকালে গোমতির বলিচন্দ্র কার্বারি পাড়ায় স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী মো. আবুল হাসেমের বাড়ি থেকে চালগুলো উদ্ধার করা হয়।
গোমতি ইউনিয়নে নির্বাচিত ৩৩৫ জন কার্ডধারীর কাছে ১০ টাকা দরে বিক্রির জন্য ৩০ কেজি ওজনের ২৮ বস্তা সরকারি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। গোপনে ওসব চাল চুরি করা হয়। খবর পেয়ে চালগুলো উদ্ধার করেন মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আকতার ববি। এ সময় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কেনার অভিযোগে মো. আবুল হাসেমকে আটক করা হয়।
২৮ বস্তা চাল উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ওসি মো. শামসুদ্দিন ভূইয়া। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডিলার মো. আব্দুল মোমিন পলাতক। তিনি গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনের ছোট ভাই ও যুবলীগ নেতা। মূলত যুবলীগ নেতা মোমিন কালোবাজারে এসব চাল বিক্রি করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা মূল্যে চাল বিক্রির জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সেই চাল নির্ধারিত কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি না করে ডিলার মো. আব্দুল মোমিন ২৮ বস্তা চাল স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীর কাছে কাছে বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ক্রেতার বাড়ি থেকে ওসব চাল উদ্ধার করা হয়।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির খবর পেয়ে ২৮ বস্তা উদ্ধার করেছি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডিলার এবং ক্রেতার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারের এ ঘটনায় গাফিলতি আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/এমকেএইচ