করোনা কেড়েছে মায়ের প্রাণ, আক্রান্ত বোনসহ দুই সন্তান
ঢাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফার মায়ের মৃত্যুর পর এবার মৃতের বড় মেয়ে নারগিছ আক্তারেরও (৫০) করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যবসায়ীর ২ শিশু সন্তানও করোনা পজিটিভ বলে ধরা পড়ে।
শনিবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. মো. মীর হোসেন মিঠু এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, উপজেলার জিয়াপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। তার মায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় তাকে গত রোববার (৫ এপ্রিল) প্রথমে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং পরে একই রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ১১টার দিকে মৃত্যু হয়। মৃতের শরীর থেকে নেয়া আলামত পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছিল।
মায়ের মৃত্যুর পর দিন ব্যবসায়ী মোস্তফা পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন ওই ব্যবসায়ী ও তার ভাইয়ের দুটি বাড়ি লকডাউনসহ পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর’এ পাঠান। পরে ওই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মৃতের ৪ ও ৭ বছরের দুই নাতি এবং শনিবার তার মেয়ের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দুটি বাড়ি লকডাউন অব্যাহত থাকবে বলে ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
করোনা আক্রান্ত ওই তিন জনের চিকিৎসা প্রসঙ্গে ডা. মীর হোসেন মিঠু সাংবাদিকদের জানান, লকডাউন করা বাড়িতে এখন ৩ জনের প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। পরবর্তীতে আরও ২ দফায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করার পর রিপোর্টের পরবর্তী ফলাফল অনুসারে প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
কামাল উদ্দিন/এফএ/এমকেএইচ