সরকারি চাল বিক্রি করে দিলেন ডিলার, ৭ বস্তা জব্দ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে অনিয়ম করেছেন ডিলার আবুল কাশেম। তিনি প্রকৃত কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে বেশি দামে অন্যদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে হতদরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছেন।
খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই অভিযান চালিয়ে কয়েকটি বাড়ি থেকে সাত বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে। পরে চালগুলো উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়। শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে ফতেহপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ডিলার কাশেমের চালবাজির ঘটনায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন হতদরিদ্ররা। কাশেম চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়ার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্র জানায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চন্ডিপুর ইউনিয়নের ৭১৫ জন কার্ডধারী রয়েছেন। প্রত্যেক কার্ডধারী ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন। কিন্তু ডিলার কাশেম তাদের কাছে চাল বিক্রি না করে বেশি দামে বাইরে বিক্রি করেছেন। এতে প্রতি বস্তায় তিনি ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি লাভ করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে এনএসআই অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন বাড়ি থেকে সাত বস্তা চাল জব্দ করে। যাদের কারও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড নেই।
ডিলার আবুল কাশেম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে আমি কার্ড ছাড়া লোকজনকে চাল দিয়েছি। কার্ডের লোকজন চাল নিতে আসেনি।
চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভূঁইয়া ডিলারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দরিদ্রদের চাল অন্যদের কাছে বিক্রি করে ডিলার অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, জব্দ করা সাত বস্তা চাল আমার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি ইউএনকে জানিয়েছি। অনিয়ম করায় কাশেমের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।
কাজল কায়েস/এএম/জেআইএম