ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনার উপসর্গে নারীর মৃত্যু, আইসোলেশন থেকে যুবকের পলায়ন

জেলা প্রতিনিধি | পাবনা | প্রকাশিত: ১২:১২ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২০

পাবনার সাঁথিয়ায় জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথাসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ছুম্মা খাতুন (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত ছুম্মা খাতুন উপজেলার ধুলাউড়ি মধ্যপাড়া গ্রামের মো. আবু বক্কারের স্ত্রী।

বিকেলে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা অনুসারে সুরক্ষা পোশাক পরিহিত স্বেচ্ছাসেবক দল ওই নারীর দাফন সম্পন্ন করে।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম জামাল আহমেদ জানান, পেশায় ভিক্ষুক ওই নারী বেশ কিছু দিন ধরেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি মারা যাওয়ায় আমরা বাড়িটি লকডাউন করেছি।

সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমাতুজ জান্নাত জানান, বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ছুম্মা খাতুনের নমুনা সংগ্রহ করে বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে কিনা নিশ্চিত বলা সম্ভব নয়।

ধুলাউড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জরিফ উদ্দিন মাস্টার জানান, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে ভুগছিলেন।

স্থানীয় গ্রামবাসী জানিয়েছেন, ভিক্ষাবৃত্তি করতে ছুম্মা খাতুন বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতেন। করোনার উপসর্গে তার মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে করোনা সন্দেহে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা এক যুবক পালিয়ে গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

পালিয়ে যুবকের নাম মোস্তাক আল মাসুদ (২৫)। তিনি দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের মো. আনিসুর রহমানের ছেলে।

ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, পালিয়ে যাওয়া যুবক সপ্তাহ খানেক আগে পাবনার আমিনপুর থানার দিঘলকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এখানে কোনো এক অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে এলাকাবাসী তাকে মারধোর করে পুলিশে দেয়। পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় যুবকের মধ্যে করোনার কিছু আলামত দেখা দিলে পুলিশ তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং এরপর তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়।

গত মঙ্গলবার তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রেজাল্ট আসেনি। এরই মধ্যে বুধবার রাতে সে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।

একে জামান/বিএ