নরসিংদীতে ফোন দেয়ার ১০ মিনিটেই খাবার যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি
এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে চার সদস্যের পরিবার। বড় ছেলে এখনো কর্মহীন। অঘোষিত লকডাউনের ফলে বন্ধ প্রাইভেট-টিউশন। সামাজিক মর্যাদা, লোকলজ্জা ও আত্মসম্মানের ভয়ে কারও কাছে হাত পাততেও পারছেন না। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে বুধবার রাত ১০টায় নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামানের হটলাইনে নম্বরে ফোন দিয়ে বাসার খাবার ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন। ফোন পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয় দুই শিক্ষকের বাড়ি।
একই সাথে লকডাউনের সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাচ্ছন্দে চলার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। দুর্যোগপূর্ণ সময় দ্রুত খাবার পাওয়ায় খুশি ওই পরিবার। খাবার পেয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ধন্যবাদ জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা পুলিশকে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে আমরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকার অসহায় মানুষদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। করোনাভাইরাসের দুর্যোগ মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক নিম্নআয়ের মানুষদের কাছে আমার নম্বর দেয়া আছে। যারা লোকলজ্জার ভয়ে জনসম্মুখ থেকে নিতে পারছেন না, আমরা গোপনে তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। তাছাড়া পৌর শহর ও আশপাশ এলাকার যে সকল মানুষ আমাদের হটলাইন ফোন দিচ্ছেন, তাৎক্ষণিক আমরা তার বাসায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। হোম কায়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের বাসায় বাসায় গিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে খাবার দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা মোকাবিলায় এখন আমাদের প্রধান কাজ হলো মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখা। সেই লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে দিনভর টহল বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
সঞ্জিত সাহা/বিএ