সাড়ে দশ ঘণ্টা পর জানা গেল ওগুলো বোমা নয়
সাড়ে দশ ঘণ্টা টেনশনে থাকার পর পাকশীর দিয়াড় বাঘইল গ্রামের মানুষ জানলো বোমা সদৃশ্য বস্তু দুটি আসলে বোমা নয়। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে পাকশীতে বোমা আতঙ্কে ছিল দুটি বাড়ির আশপাশের লোকজন।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী দিয়াড় বাঘইল গ্রামে দুটি বাড়ির দরজার সামনে দুটি বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান পথচারীরা। পাশাপাশি দুই বাড়িতে দুটি বোমা স্থাপন করায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ দুটি বস্তু ভালোভাবে টেপ দিয়ে জড়ানো ও বৈদ্যুতিক তার টেনে ব্যাটারি লাগানো ছিল।
মঙ্গলবার রাতে অথবা ভোরে কে বা কারা বোমার মতো দেখতে এ বস্তু দুটি সেখানে রেখে যায়। খবর পেয়ে সকালেই পুলিশ এসে বাড়ি দুটি ঘেরাও করে রাখে। ঘটনাস্থলে আসেন পাবনার পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঈশ্বরদী সার্কেল মো. ফিরোজ কবীর ও ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী।
দমকল বাহিনীও আনা হয়। কিন্তু কেউই কথিত বোমায় হাত দিতে সাহস পাননি। ডাকা হয় ঢাকার বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের। দিন পেরিয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরীক্ষার পর নিশ্চিত হন এগুলো আসলে বোমা নয়। সুন্দরভাবে জড়ানো বস্তু দুটির মোড়ক খুলে বোমার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বিকাশ চক্রবর্তী জানান, ওগুলো বোমা নয়। তবে বোমার মতো করে তৈরি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, পাকশীর দিয়াড় বাঘইল হাজিপাড়ায় (ক্লাব মোড় করিমের মিল) সংলগ্ন মো. শফিকুল ইসলাম প্রামাণিক ও আব্দুল গাফফার প্রামাণিকের বাড়িতে বোমার মতো দেখতে এ দুটি স্থাপন করা হয়।
বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলাম জানান, গত বছরের ৮ জুন তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কে বা কারা উড়ো চিঠি দেয়। গত চারদিন পূর্বে পেট্রল ঢেলে রেখে যায় অজ্ঞাত কেউ। এসব ঘটনায় তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
আলাউদ্দিন আহমেদ/এমএএস/এমআরএম