ফুলবাড়ীতে আবাসিক এলাকায় ডাকাতি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক শিক্ষক দম্পতির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা গৃহকর্তাসহ বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে থাকা নগদ টাকাসহ তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটায়, উপজেলা পরিষদের আবাসিক গেটের সামনে শিক্ষক মঈনুদ্দি আহম্মেদের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এহেতেশাম রেজা ও ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বাড়ির মালিক শিক্ষক মঈনুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী মঈনুদ্দি আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার সময় ১৫/২০ জনের একটি ডাকাতদল তার বাড়ির প্রধান গেট ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তিনি তার স্ত্রী ভয় পেয়ে একটি ঘরে আত্মগোপন করেন। ডাকাত সদস্যরা তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে মিরাজকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এসময় ঘর থেকে তারা বেরিয়ে আসলে, ডাকাত সদস্যরা তাদেরকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তাদেরকে জিম্মি করে, বাড়িতে থাকা নগদ আট হাজার টাকা, একটি ১২৫সিসি ডিসকভারি মোটরসাইকেল, দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য তিন লক্ষ টাকা।
প্রতিবেশী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি চালক সামছুল আলম জাগো নিউজকে জানান, ডাকাত দলটি শিক্ষক মঈনুদ্দিন আহম্মেদের বাড়িতে ডাকাতি করার সময় প্রতিবেশীর বাড়ির গেটে, উপজেলা আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারেজুলের বাড়ির গেট, উপজেলা হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আনছার আলীর বাড়ির গেটে অস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছিলো। যাতে কেউ বাড়ির ভেতর থেকে বের হতে না পারে। এছাড়া আশপাশের বাড়ির গেট বাহির থেকে বন্ধ করে দেয় ডাকাতরা।
মঈনুদ্দিনের স্ত্রী শিক্ষিকা আজিজা খানম জাগো নিউজকে বলেন, ডাকাত দলটি আধা ঘণ্টা ধরে বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করলেও পুলিশ আসেনি। তিনি আরো বলেন ডাকাত সদস্যদের মুখ বাঁধা ছিল। তাদের পরনে হাফ প্যান্ট ও হাতে ছুরি, লাঠি ও অস্ত্র ছিল।
এই বিষয়ে ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাকাতদের ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে উপজেলা আবাসিক এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উপজেলার আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
উপজেলা আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারেজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষক মঈনুদ্দিনের বাড়িতে ডাকাতি করার সময় উপজেলার আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাড়িতেও ডাকাত সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিল। এ ঘটনায় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/আরআইপি