জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ত্রাণের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ল তারা
দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্ধ রয়েছে সব ধরনের ট্রেন চলাচল। এতে কার্যত বন্ধ রয়েছে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা ভেঙে শুক্রবার সকালে (০৩ এপ্রিল) লোকজন জড়ো হন রেলস্টেশনে।
বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের অর্থ-সহায়তার আশায় হাজির হয়েছিলেন নগরীর নিম্নআয়ের হাজারো মানুষ। বিষয়টি নজর এড়ায়নি প্রশাসনের। খবর পেয়ে সমবেত লোকজনকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রেলস্টেশনে ব্র্যাকের তালিকাভুক্ত ৩৭৫ জন কর্মহীন মানুষকে আর্থিক অনুদান দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু খবর পেয়ে তিন হাজার লোক জড়ো হন। গাদাগাদি করে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে যান। জায়গা নিয়ে হট্টগোল হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থানের পর অর্থ বিতরণ না করেই তাদের সরিয়ে দেয়া হয়।
জানতে চাইলে ব্র্যাকের রাজশাহী অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর ফারহানা বেগম বলেন, ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় রাজশাহী নগরের ৩৭৫ জন কর্মহীন মানুষকে ১৫০০ টাকা করে অনুদান দেয়ার প্রস্তুতি ছিল। যারা এই অর্থ সহযোগিতা পাবেন তারা সবাই ব্র্যাকের সমিতির সদস্য। সামাজিক দূরত্ব মেনে বিতরণ সুবিধা মাথায় রেখে স্টেশনকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়া হয়। সকালে অর্থ বিতরণ উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু সেখানে বিপুল লোকের সমাগম হয়। এ কারণে উদ্বোধনী কার্যক্রম বাতিল করা হয়। পরে ২০ জনকে নিয়ে গিয়ে নগর ভবনে অর্থ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। বাকিদের বাড়ি বাড়ি অর্থ পৌঁছে দেন ব্র্যাকের কর্মীরা।
এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) হামিদুল হক বলেন, ব্র্যাক আমাদের ভালোভাবে বিষয়টি অবগত করেনি। তারা এটা ভুল করেছে। এভাবে সহায়তা দিতে গেলে মারাত্মক ক্ষতি হবে। আমরা ব্র্যাক কর্তৃপক্ষের কাছে এ ধরনের কাজের কারণ দর্শাতে বলেছি। যৌক্তিক জবাব না দিতে পারলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/জেআইএম