রাজশাহীতে ফোনেই প্রাথমিক পরামর্শ পাবেন রোগীরা
রাজশাহীতে এখন থেকে হাসপাতালে না গিয়েও মোবাইলে ফোনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাবেন রোগীরা। করোনাভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদানে রাজশাহী মেডিকের কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে চিকিৎসা কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই চিকিৎসকদের সরাসরি কল করে ২৪ ঘণ্টা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ নেয়া যাবে।
এছাড়া করোনা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রামেক হাসপাতালে তথ্য আদান-প্রদান ও প্রাপ্ত তথ্যাদি রেজিস্টারভুক্ত করার জন্য পাঁচটি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রামেক হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ নওসাদ আলী, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, রামেক হাসপাতাল থেকে কোনো রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হবে না। নতুন কেউ আসলে তাকেও ফিরিয়ে দেয়া হবে না। সবার চিকিৎসা যথাযথভাবে হবে। যারা হাসপাতালে আসতে চান না তারা মোবাইল ফোনে চিকিৎসা বা পরামর্শ নিতে পারবেন। এ জন্য ১৫ জন চিকিৎসকের নম্বর প্রস্তুত করা হয়েছে।
চিকিৎসা কমিটির ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ও নম্বর হচ্ছে- ডা. আজিজুল হক আজাদ (০১৭১৫৩৬৭৮৪৪), ডা. জহুরুল হক (০১৭১২০০০৯১৮), ডা. সৈয়দ মাহাবুব আলম (০১৭১১০৭৪২৬৬), ডা. হারুন অর রশীদ (০১৭১১৯০৪৭৭৮), ডা. মাহাবুবুর রহমান (০১৭৬৩২৪৮৪৪৮), ডা. প্রবীর মোহন বসাক (০১৭১২৪১৬৮৬২), ডা. আখতারুল ইসলাম (০১৭১২৬২২৭১৬), ডা. আমজাদ হোসেন (০১৭১২৬৮৫৩৫০), ডা. মোহাইমেনুল হক (০১৭১৩৩২৬১৯৭৫), ডা. রেজাউল ইসলাম (০১৭১১৫৭৭৫৬৩), ডা. নাজনীন পারভীন (০১৭১১১৮০২৩৮), ডা. সেলিম খান (০১৭১৩২২৮৩৮৩), ডা. আমজাদ হোসেন প্রাং (০১৭১৮১৬৭৮১৯), ডা. রকিবুল ইসলাম (০১৯১৪৯৫৭৬৪৭) ও ডা. সিদ্দিকুর রহমান (০১৭১৬০৩৪৮১৪)।
এছাড়াও রামেক হাসপাতালের হটলাইন নম্বরগুলো হচ্ছে- শনিবার ০১৭১৫৫৪৫৫৭২, ০১৭৩৪১৯৫৯৯৯ রোববার ০১৭৪৪৫৯৫৮৪২, ০১৭১৬৫৩৬৬৫৬, সোমবার ০১৭৪৪৫৯৫৮৪২, ০১৭১৫৮৪১২৬৬ মঙ্গলবার ০১৭৬৫৭০৯৪৪০, ০১৭৮২৯১৬৮৯১, বুধবার ০১৭৩৪১৯৫৯৯৯, ০১৯১৯৯৮১৯৪০, বৃহস্পতিবার ০১৭১১৯৮১৯৪১, ০১৭৪৪৫৯৫৮৪২ এবং শুক্রবার ০১৭৪৪৫৯৫৮৪২, ০১৭১২৫৫৯৬৭৩।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, রোববার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পবা উপজেলার ১৭ বছরের এক কিশোরকে ইনফেকশন ডিজিজ (আইডি) হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। সে তিন দিনের জ্বর ও শুকনো কাশিতে আক্রান্ত। ওই কিশোর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি-না তা পরীক্ষার পর জানা যাবে।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/জেআইএম