ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

গাজীপুরে ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে হত্যা

প্রকাশিত: ১২:৪১ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৫

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইলের নয়ানিপাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার দুপুরে জয়দেবপুর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম শান্তনা রবিদাস (১০)। সে স্থানীয় সাপমারা এলাকার নিরঞ্জন রবিদাসের মেয়ে এবং পূবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় নিহতের বাবা নিরঞ্জন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

নিহতের জেঠি কবিতা রবিদাস জানান, দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে শান্তনা মেঝো। তার বড় ভাই শান্ত রবিদাস নবম শ্রেণির ছাত্র। ছোট বোনের বয়স ১৩ দিন। সোমবার সকাল ৮টার দিকে শান্তনার দাদি রিতা রবিদাস বাজার আনতে শান্তনাকে পূবাইল বাজারে শান্তনার বাবার কাছে পাঠায়। সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শান্তনা বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় ছেলেকে মোবাইল করে জানায় রিতা রবিদাস। এক পর্যায়ে খোঁজাখুজি করতে গিয়ে শান্তনাকে নয়ানিপাড়া এলাকায় একটি ঝুঁপের মধ্যে গলায় ওড়না দিয়ে প্যাচিয়ে শ্বাসরোধ করা অবস্থায় বাঁশের খুটির সঙ্গে বাধা বস্ত্রহীন অবস্থায় দেখতে পায় বাবা নিরঞ্জন ও স্বজনরা। পরে জয়দেবপুর থানা পুলিশের খবর দেয়া হলে স্থানীয় পূবাইল ফাঁড়ি পুলিশ দুপুরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের প্রতিবেশি শেফালী আক্তার জানান, শান্তনা রবিদাসকে হত্যার আগে পাশবিক নির্যাতনের আলামত রয়েছে। শান্তনা রক্তাক্ত ও বস্ত্রহীন অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল।

জয়দেবপুর থানা পুলিেশের ওসি খন্দকার রেজাউল হাসান রেজা জানান, ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের চেষ্টার পর শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, তার গলায় দাগ রয়েছে। তবে ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে।

স্থানীয়রা জানায়, নয়ানিপাড়ার ওই রাস্তা দিয়ে পার্শ্ববর্তী সাপমারা গ্রামে যেতে হয়। ঘটনাস্থল ওই স্থানটির আশপাশে প্রতিদিন স্থানীয় মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের আড্ডা বসে।

আমিনুল ইসলাম/এমএএস/পিআর