ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা আতঙ্কে রোগীশূন্য হাসপাতাল

জেলা প্রতিনিধি | নেত্রকোনা | প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ২৭ মার্চ ২০২০

করোনা আতঙ্কে রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে একশ শয্যার নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল। অন্য সময় প্রতিদিন হাসপাতালে চার থেকে পাঁচশ রোগীর সমাগম হলেও বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগী পাওয়া গেছে মাত্র আট জন। এরমধ্যে গাইনি ওয়ার্ডে ছয়জন। আর পুরুষ ওয়ার্ডে দুই জন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন।

বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের আউট ডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন মাত্র ৭২ জন রোগী। অন্যান্য সময় চার থেকে পাঁচ শতাধিক রোগী এ আউটডোরে সেবা নিয়ে থাকেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে শহরের জয়নগর এলাকায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। গত বছরের নভেম্বরে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও চিকিৎসক সংকটে চরম ভোগান্তিতে ভুক্তভোগীরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসপাতালটিতে ৪২ জন মঞ্জুরীকৃত ডাক্তারের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন। এরমধ্যে সদ্য বিসিএসপ্রাপ্ত অনভিজ্ঞ রয়েছেন ৫ জন। বিভিন্ন উপজেলা থেকে ডেপুটেশনে নিয়ে আসা হয়েছে আরও ৯ জন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মধ্যে রয়েছেন একজন গাইনি আর একজন সার্জারি। নেই কোনো শিশু বিশেষজ্ঞ ও ডেন্টাল সার্জন।

একাধিক সেবিকা জানান, ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসার জন্য কোনো ইনডোর চিকিৎসক নেই। ভর্তিকৃত রোগীর চিকিৎসা এবং দেখভাল করে থাকেন দায়িত্বরত সেবিকারাই। প্রতিদিন সকাল বেলা একজন চিকিৎসক হাসপাতালে রাউন্ড দিয়ে থাকেন। পালাক্রমে ৩ জন ইর্মাজেন্সি মেডিকেল চিকিৎসক হাসপাতালে দৈনিক প্রায় ৫ শতাধিক আউটডোর রোগী দেখে থাকেন। বিশেষ প্রয়োজনে তাদেরকে ডেকে আনা হয়। কিন্তু এখন করোনার আতঙ্কে অনেক রোগীই হাসপাতাল ছাড়ছেন।

গাইনি ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সেবিকা স্মৃতি বেগম বলেন, পঁচিশ বছরের চাকরি জীবনে এত কম রোগী জীবনেও দেখিনি। রোগীরা করোনা আতংকে হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন। আমরা কোথাও যেতে পারবো না। আমদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সামগ্রীও দেয়া হচ্ছে না।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. তাজুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যে চাহিদা দিয়েছিলাম তা পেয়েছি। আমাদের যে পরিমাণ চিকিৎসক আছেন তা দিয়েই চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী এখনো ভর্তি হয়নি। জেলার দশ উপজেলায় ১০০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে আমরা মাইকিংসহ বিভিন্ন ধরনের লিফলেট বিতরণ করছি।

কামাল হোসাইন/এফএ/এমএস