ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না
করোনভাইরাসের প্রভাবে অনেকটা নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর। রাস্তা-ঘাটে নেই মানুষজন, নেই কোনো কোলাহল।
সরকারি নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলা শহরের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, রেস্টুরেন্ট, কাঁচামাল, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসি ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, রিকশা ছাড়া চলছে না কোনো যানবাহন। যেসব দোকানপাট খোলা রয়েছে সেগুলোতেও ক্রেতা নেই।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই। অনেকটা জনশূন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে দুইটি গাড়িতে করে ১০ জন সেনা সদস্যকে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে টহল দিতে দেখা গেছে। সেনা সদস্যদের নেতৃত্বে রয়েছেন কুমিল্লা সেনানিবাসের ৬ বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর মাহফুজ। মূলত জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে রাস্তা-ঘাটে জনসমাগম এড়ানো এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চতকরণের কাজ করছে সেনাবাহিনী।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য সাংবাদিকদের জানান, জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সকাল থেকেই টহল দিচ্ছেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনা সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। বিলি করা হচ্ছে মাস্ক ও সতেচনতামূলক লিফলেট। এছাড়া পৌরসভা এলাকার রাস্তা-ঘাটগুলোতে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পৌরসভার একটি গাড়ি ও ১০টি হ্যান্ড মেশিনে করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রাস্তায় এবং যানবাহনে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছেন। এভাবে প্রতিদনই পৌরসভা এলাকার রাস্তাঘাটে জীবাণুনাশক ছিটানো হবে বলে জানা গেছে।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস/পিআর