শরীয়তপুরে বেইলি সেতুর প্লেট ভেঙে যান চলাচল বন্ধ
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের একটি বেইলি সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর এলাকার জাজিয়াহার খালের ওপর নির্মিত এ সেতুর পশ্চিম পাশের স্টিলের প্লেট ভেঙে পড়েছে।
এতে দুপুর থেকে সেতুটির দুই পাশে অন্তত দেড় শতাধিক গাড়ি আটকে আছে। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কাঁচামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গাড়ি চালকরা।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটি ৪০ কিলোমিটার। এই এলাকায় পাঁচটি বেইলি সেতু ঝুঁকিপূর্ণ। তার একটি জাজিয়াহার এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ১০ টনের অধিক ভারী যানবাহন সেতুতে না ওঠার জন্য সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে সড়ক বিভাগ। কিন্তু তা উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাথরভর্তি ২৫ থেকে ৩০ টন ওজনের একটি ট্রাক সেতুটি পার হওয়ার সময় দুটি প্লেট বিধ্বস্ত হয়। তখন ট্রাকটি সেতুতে আটকে যায়। কিন্তু সংস্কার না হওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খুলনা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এ অংশটি দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার শত শত বাস, ট্রাক, কার্গো, পিকআপ চলাচল করে।
আটকে পড়া গাড়ির চালক মজিবুর রহমান ও আনসার উদ্দিন জানান, পাথরভর্তি ট্রাকটি সেতুতে ওঠার পর পরই বিকট শব্দ করে সেতুটির প্লেটের নাট খুলে যায় এবং ট্রাকটির বাঁ পাশের চাকাগুলো দেবে যায়।
তারা আরও জানান, চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে তারা খুলনায় যাচ্ছেন। সেতুটি ভেঙে পড়ায় আবার চট্টগ্রাম ফিরে যেতে হবে কি-না সে চিন্তায় আছেন।
শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজেদুর রহমান বলেন, একটি ট্রাক প্রয়োজনের চেয়ে বেশি মাল বহন করে সেতুটির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে যায়। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
তিনি বলেন, যানবাহন চলাচলের বিকল্প সড়ক রয়েছে। অনেক ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। সেতু থেকে ট্রাকটি সরাতে ও সেতুটি মেরামতের জন্য আমাদের লোক ওই স্থানে পৌঁছেছে। যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
ছগির হোসেন/আরএআর/পিআর