ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

স্কুল ও অবকাঠামো আছে : নেই শিক্ষকদের বেতন

প্রকাশিত: ০৫:৪১ এএম, ১২ অক্টোবর ২০১৫

স্কুল আছে, আছে শিক্ষার্থী। রয়েছে অবকাঠামোগত সুবিধাও। শুধু তিনবছর ধরে নেই শিক্ষকদের বেতন। ফলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার আদিবাসী স্কুল শিক্ষকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টকর জীবনযাপন করছেন।

উপজেলার সুন্দরপুর যুক্তিপাড়ায় ২০০২ সালে সুন্দরপুর গণপাঠশালা নামে বেসরকারিভাবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সহযোগিতায় এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই বছরের ১৬ আগস্ট ৫৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বাঁশের বেড়া ও টিনের ছাউনি বিশিষ্ট তিনটি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে গণপাঠশালাটিতে ২১১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণী পরীক্ষায় ২১ জন অংশগ্রহণ করে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়।

ধীরে ধীরে এই পাঠশালাটির শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেলেও উপকরণ সঙ্কটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের পাঠদান। এই বিদ্যালয়টি এখন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতা থেকে অনেকটা বঞ্চিত।

পাঠাগারটির প্রধান শিক্ষক লুচিয়ান্না সরেন জাগো নিউজকে জানান, স্কুলটিতে পার্শ্ববর্তী গ্রাম জয়কৃষ্ণপুর, পাঁচগাছিয়া, শ্রীরামপুর, যুক্তিপাড়া ও সুন্দরপুর এই পাঁচটি গ্রামের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। এ পাঠশালার সাবেক শিক্ষার্থী শ্যামসান টুডু বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন। এছাড়া আরো ৩০ জন সাবেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন কলেজে অধ্যয়নরত।

শিক্ষকদের বেতন না থাকায় নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সুন্দরপুর আদিবাসী গণপাঠশালার শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পাঠশালাটি প্রতিষ্ঠার প্রায় ১৩ বছর পরও সরকারিভাবে কোনো উন্নয়ন হয়নি। দেয়া হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। তারপরও পাঠশালাটিতে চলছে নিয়মিত পাঠদান। শিক্ষকরা নিজ উদ্যোগে আদিবাসী ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।

এসময় তিনি আরো জানান, ২০০২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বর্তমান সময় পর্যন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। ২০১২ সাল পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্কুলটি পরিচালনা করেছে। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে আমরা পাঁচজন শিক্ষক বেতন-ভাতা পাই না। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করতে এবং আদিবাসীদের মাঝে শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্যই তারা স্কুলটি টিকিয়ে রেখেছেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমএস