নজরদারিতে শিবচরের ৭০ হাজার মানুষ, রাস্তাঘাট জনশূন্য
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তৃতীয় দিনের মতো অবরুদ্ধ মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা। উপজেলার ছয়টি এলাকাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রাথমিকভাবে ৭০ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ফলে পুরো শিবচর উপজেলা কার্যত লকডাউন (অবরুদ্ধ) হয়ে আছে। এতে রাস্তাঘাটে নেই লোকজনের সমাগম, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে। অতিপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা থাকলেও ক্রেতারা আসছেন না।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিবচর উপজেলার চারটি এলাকা। ওই সব এলাকার প্রবেশদ্বারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শিবচরজুড়ে প্রায় আড়াইশ পুলিশ টহল দিচ্ছে। করোনার ঝুঁকি এড়াতে শিবচরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) মাদারীপুর জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পুলিশ বিভাগের সমন্বয়ে শিবচর পৌরসভার দুটি ওয়ার্ড, পাঁচ্চর ইউনিয়নের দুটি গ্রাম ও দক্ষিণি বহেরাতলা ইউনিয়নের দুটি গ্রাম লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়। এসব এলাকায় কেউ যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য ১৬টি পয়েন্টে টহল দিচ্ছে পুলিশ। কিছু প্রয়োজন হলে পুলিশের সহযোগিতায় তা সংগ্রহ করছে মানুষ। এছাড়া কালকিনি উপজেলা থেকে বরিশালগামী কোনো পরিবহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রাথমিকভাবে শিবচরের ৭০ হাজার মানুষকে চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ফলে পুরো শিবচর উপজেলা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে আছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৯৮ জন, আইসোলেশনে তিনজন ও তিনজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/এমএস