প্রথমে সতর্ক করলেন ডিসি, পরে র্যাব
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা উপসর্গ রয়েছে এমন কোনো রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তবে সতর্কতামূলক হিসেবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় ৩৭৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই প্রবাস ফেরত।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার খুব একটা প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে ভেবে অনেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণ মজুত করে রাখছেন। এতে করে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দরে পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। চালের দাম প্রতি বস্তায় তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গত বুধবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪২ টাকা করে বিক্রি হলেও শুক্রবার থেকে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। তবে কোনো ক্রেতার কাছে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য বিক্রি না করার ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করছে প্রশাসন।
এদিকে, শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় জেলা শহরের বাজার কমিটির নেতাদের সতর্ক করা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ এবং সরবরাহ আছে জানিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম না বাড়ানোর জন্য সতর্ক করে দেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।
তবে সভায় দাম বাড়ার পেছনে শহরের জগৎ বাজার কমিটির সভাপতি শাহজাহান মিয়া পরিবহন ব্যয় বেশি এবং পণ্য সংকটের অজুহাত দেখান। সভায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয়া হয়। অযথা দাম বাড়ালে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেয়া হবে বলে জানান র্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দিন মো. যোবায়ের।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম। এছাড়া চিকিৎসক এবং নার্সদের সুরক্ষার জন্য পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজিজুল সঞ্চয়/এমএএস/এফআর