ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় বাড়ছে বিদেশফেরত, বাড়ছে না কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা

জেলা প্রতিনিধি | নেত্রকোনা | প্রকাশিত: ১০:০৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০

দিন যত যাচ্ছে নেত্রকোনায় বাড়ছে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সংখ্যা। কিন্তু সে তুলনায় বাড়ছে না স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা। মার্চের শুরু থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৮ দিনে জেলায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল ৮১০ জন। এ সময় পর্যন্ত ৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

কিন্তু শুক্রবার বিদেশফেরত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৯১৫ জনে। অর্থাৎ নতুন করে আরও ১০৫ জন যুক্ত হলেও কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ৫৯ জনই

জেলার সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে, নেত্রকোনায় মোট বিদেশফেরত ব্যক্তির সংখ্যা ৯১৫ জন। ইতালি, চীন, ওমান, দুবাই, সিঙ্গাপুর, জর্দান, মালয়েশিয়া, স্পেন, অস্টেলিয়া, সৌদিআরব, বাহরাইনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তারা দেশে ফেরেন। বিদেশফেরত মোহনগঞ্জের এক নারী জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

মাত্র ৫৯ জন ছাড়া এখনও বিদেশফেরতদের অবস্থান নিশ্চিত হতে পারেনি প্রশাসন।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে পাঠানো এক তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮১০ জনের বাড়ি নেত্রকোনায়। তাদের মধ্যে আটপাড়ায় ৬২ জন, সদর উপজেলায় ২১৪ জন, বারহাট্টায় ৩৪ জন, মদনে ৪৮ জন, খালিয়াজুরিতে ২৫ জন, মোহনগঞ্জে ৭৩ জন, পূর্বধলায় ৭৫ জন, কলমাকন্দায় ২৪ জন, দুর্গাপুরে ৭৭ জন রয়েছেন। তাদের ব্যাপারে জেলা পুলিশ খোঁজ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, বিদেশফেরতদের তালিকা জেলার ১০টি থানায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের নিয়ে টিম গঠন করে পুলিশ তাদের খুঁজে বের করবে এবং কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

জেলা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলামের দাবি, বিদেশফেরত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারীর সর্দি-জ্বর থাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই। এখন পর্যন্ত তারা সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছেন।

‘তারপরও সতর্কতা হিসেবে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মঈন-উল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির লোকজন সার্বক্ষণিক বিদেশফেরত এবং তাদের পরিবারের লোকজনের ওপর নজরদারি রাখছেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে লিপলেট বিতরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় সচেতনতা বিষয়ক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে মাইকিং করা হচ্ছে।

বিদেশফেরত লোকজনের পরিবারের সদস্যদেরও বাড়ির বাইরে মুক্তভাবে চলাফেরা করতে নিষেধ করা হচ্ছে। যদি কেউ এ নিষেধাজ্ঞা না মানেন তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করা হবে।

কামাল হোসাইন/এমএআর/পিআর