সিলেটে দুই প্রবাসীর বিয়ে বন্ধ করল প্রশাসন
সিলেটে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মানায় দুই প্রবাসীর বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও একটি কমিউনিটি সেন্টার সিলগালা ও জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ মার্চ) সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাটে উপজেলায় অভিযান চালিয়ে স্থানীয় প্রশসান এ ব্যবস্থা নিয়েছে।
জানা গেছে, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মেনে এক প্রবাসীর বিয়ের আয়োজন করায় তা পণ্ড করে দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে বরপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার শিলের ভাঙা নদীর পাড়ে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটিয়ে বিয়ের আয়োজন করায় এ জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন আচার্য্য।
এছাড়া উপজেলার টুকেরগাঁও এলাকায় দুবাইফেরত এক প্রবাসীর পরিবার হোম কোয়ারান্টাইনের নিয়ম না মানায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দিনভর বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় কয়েকটি দোকানকে জরিমানাও করা হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলার টুকের বাজারের নাজমুল স্টোরে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা, পারুয়া বাজারে জসিম স্টোরে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও সুমন আচার্য্য বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে যাতে প্রবাসীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন সেজন্য সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলায় লোক সমাগম বন্ধের জন্যও নানা প্রদক্ষেপ নিয়েছি। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা যাতে বাজারকে অস্থির করে না তুলেন সেজন্য মনিটরিং করা হচ্ছে।
এদিকে কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নিউ বাউরভাগ পশ্চিম গ্রামের এক প্রবাসী গত ১১ মার্চ মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে এসেছেন। নিয়ম অনুযায়ী যেখানে তার ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা, সেটা না করেতিনি আনন্দ-উৎসব করে বিয়ের আয়োজন করেন। তার বিয়ের নির্ধারিত তারিখ ছিল আজ শুক্রবার। এ উপলক্ষে কনের বাড়ি কানাইঘাট পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামে ভোজের আয়োজন করা হয়।
বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে গিয়ে নতুন বউ সঙ্গে নিয়ে আসার কথা ছিল তার। বর সেজে কনের বাড়িতে যাওয়ার সকল আয়োজনও তিনি সম্পন্ন করেছিলেন। কিন্তু খবর পেয়ে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খান তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বরকে কনের বাড়িতে যেতে নিষেধ করেন এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশের পর কনের বাড়িতে বরের অনুপস্থিতে বিয়ের আকদ সম্পন্ন হয়। ২৫ তারিখের পর ওই প্রবাসীর মেডিকেল রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে বিয়ের বাকি অনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/পিআর