আতঙ্কের সুযোগ নিয়ে চালের দাম বৃদ্ধি, ব্যবসায়ীর চার গুদাম সিলগালা
করোনাভাইরাস আতঙ্কে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় অভিযানে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভীষণ কান্তি দাশ।
অভিযানে চালের অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরির অভিযোগে দুই চাল ব্যবসায়ীর চার গুদাম সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে চড়া দামে চাল বিক্রির অভিযোগে চার ব্যবসায়ীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভীষণ কান্তি দাশ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের খবর পেয়ে আগেই দোকান বন্ধ করে বাজার থেকে সরে যান চাল ব্যবসায়ী মো. আবু সওদাগর ও মো. আলম সওদাগর। পরে তাদের নিয়ন্ত্রিত চার গুদাম সিলগালা করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একই সময়ে চড়া দামে চাল বিক্রির অভিযোগে মো. সোহাগ হোসেন ও মো. আইয়ুব আলীসহ চার চাল ব্যবসায়ীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযানকালে কয়েক‘শ ক্রেতাসহ খুচরা ব্যবসায়ীরা চড়া দামে চাল বিক্রিসহ মো. আবু সওদাগর ও মো. আলম সওদাগরের বিরুদ্ধে চালের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি অভিযোগ করেন। মো. আব্দুল জলিল নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, ওই দুই ব্যবসায়ী চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে চাল বিক্রি করছেন না।
করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়েপড়ায় মাটিরাঙ্গা বাজারের কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভীষণ কান্তি দাশ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, দেশে খাদ্য সঙ্কট নেই। স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কারসাজি করে চালের সঙ্কট তৈরি করছে। বাজার পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব। কেউ যাতে গুজব ছড়িয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এমএএস/এমএস