ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পর্যটক ঠেকাতে কক্সবাজারে পুলিশ চেকপোস্ট

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ১৯ মার্চ ২০২০

কক্সবাজার সৈকত কিংবা যেকোনো পর্যটন স্পটে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণে জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত চকরিয়ায় চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং ইনানী রিসোর্ট এলাকায় কক্সবাজার জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে এ চেকপোস্ট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন।

এসপি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরুপায় হয়ে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। পর্যটন রাজধানী হিসেবে কক্সবাজারে পর্যটক, শিক্ষার্থী, পিকনিক পার্টি, কর্পোরেট হাউসগুলোর কনফারেন্সসহ নানা কারণে জনকোলাহল থাকে। বর্তমানে মানবিক আশ্রয়ে থাকা ১১ লাখাধিক রোহিঙ্গার কারণে শতাধিক এনজিও কর্মীও শহর এবং আশপাশ এলাকায় জমায়েত থাকেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এমন সব জনসমাবেশ পরিহারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। বুধবার বিকেল থেকে সৈকতে জনকোলাহলে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এরপরও লোকজন কক্সবাজারে আসছে জানতে পেরে মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং হোটেল ইনানী রিসোর্ট পয়েন্টে কক্সবাজার জেলা পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। চেকপোস্টটি ২৪ ঘণ্টা সচল থাকবে। শিক্ষার্থীদের কোনো অবস্থাতেই কক্সবাজারে ঘুরতে আসতে দেয়া হবে না। তেমনি পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ পর্যটকদেরও কক্সবাজারে বেড়াতে না আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে।

এসপি মাসুদ হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কক্সবাজার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সবাজার শহরে বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেল থেকে মাইকিং ও প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। কক্সবাজার শহর, ট্যুরিস্ট স্পট ও আশেপাশের এলাকাগুলো পুলিশ নিয়মিত নজরদারি করবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে আসা পর্যটক ও অন্যান্যদের দ্রুততম সময়ে কক্সবাজার ত্যাগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। সম্ভাব্য এ বিপদের বিষয়ে সকলকে সরকারের সব ধরনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বানও জানান তিনি।

এদিকে আর্থিক ক্ষতি হলেও প্রশাসনের এসব উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তারাও চান স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পর্যটকরা ভ্রমণ করুক। সবাই মিলে করোনা ভাইরাস প্রতিহত করে, দেশকে এগিয়ে নেয়া সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ ইফতেখার।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমকেএইচ