ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনায় কক্সবাজার সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

জেলা প্রতিনিধি | কক্সবাজার | প্রকাশিত: ০৬:১৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজারে পর্যটক আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক আসেন। ফলে কক্সবাজার করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। করোনা ঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজারে পর্যটকদের না আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম রোধে পর্যটকদের সৈকতে না নামতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সৈকতের বিচকর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিচ্ছেন।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিষয়টি জানিয়ে তাদের সরিয়ে এনেছি। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বয়স ৭০ বছর। তিনি করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া মৃত বৃদ্ধ ডায়েবেটিস ও কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। নতুন করে চারজনসহ দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে একজন মহিলা, বাকি তিনজন পুরুষ।

এ তথ্য প্রচারের পরপরই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি ও অন্য এলাকায় জনসমাগম প্রতিরোধে মাঠে টিম পাঠায় জেলা প্রশাসন। বিচের কিটকট চেয়ার ও ভাসমান এবং অন্য মার্কেটগুলো আপাতত বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেয়া হয়। বিকেল থেকে কিটকট চেয়ারের ছাতাগুলো গুঁটিয়ে রাখা হয়।

বিচ এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিন আল পারভেজ। তিনি বলেন, করোনার বিস্তার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরও একজন মারা গেছে বলে প্রচার পেয়েছে। কক্সবাজার যেহেতু পর্যটন এলাকা; এখানে দেশের সবস্থান থেকে লোকসমাগম হয়। তাই আমাদের ভীতিটা বেশি। বিকেলে সৈকতে লোকসমাগম বেশি থাকে। এজন্য সৈকত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

এএম/এমকেএইচ