ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা : বরগুনা হাসপাতালের আইসোলেশনে ভারতীয় নাগরিক

জেলা প্রতিনিধি | বরগুনা | প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২০

জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ভারতীয় এক নাগরিক। মঙ্গলবার রাতে জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে ২ ফেব্রুয়ারি বরগুনায় আসেন ভারতীয় ওই নাগরিক। তিনি বরগুনার একটি জুয়েলারিতে কাজ করেন। গত তিনদিন ধরে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত তিনি। মঙ্গলবার রাতে তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। পরে তাকে আইসোলেশনে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ নিয়ে বরগুনায় এখন পর্যন্ত বিদেশফেরত ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং একজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বিদেশফেরত এসব ব্যক্তির মধ্যে ভারত থেকে এসেছেন চারজন। লেবানন থেকে এসেছেন একজন। ওমান থেকে এসেছেন দুজন। মালয়েশিয়া থেকে এসেছেন দুজন। সৌদি আরব থেকে এসেছেন তিনজন। ইতালি থেকে এসেছেন একজন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছেন একজন।

এদের মধ্যে বরগুনার সদর উপজেলায় দুজন হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং একজন হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন। পাশাপাশি বামনা উপজেলায় ছয়জন, পাথরঘাটা উপজেলায় দুজন, বেতাগী উপজেলায় একজন, আমতলী উপজেলায় একজন এবং তালতলী উপজেলায় একজন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বরগুনার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্থাপিত করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য কেন্দ্র ও কন্ট্রোল রুম থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বরগুনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব উদ্দিন বলেন, ভারতীয় ওই নাগরিক জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এলে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিষয়টি আমরা ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) অবহিত করেছি। পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে তারা।

বরগুনার সিভিল সার্জন হুমায়ূন শাহীন খান বলেন, ভারতীয় একজন নাগরিককে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। বিষয়টি আমরা ঢাকায় জানিয়েছি। ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চীনফেরত এক শিক্ষার্থী জ্বর নিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই শিক্ষার্থীর নমুনা সংগ্রহের পরীক্ষা শেষে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে নিশ্চিত করে আইইসিডিআর।

মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম/এমকেএইচ