ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

জয়পুরহাটে পুকুরে বিষ ঢেলে মাছ নিধন ও গাছ কর্তন

প্রকাশিত: ০৮:৩৮ এএম, ১১ অক্টোবর ২০১৫

জয়পুরহাট উপজেলার রায়কালি-নওতাপাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারের প্রায় দু’বিঘা পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন, ২০টি ফলবান আম গাছ কেটে দেয়া ছাড়াও প্রায় ৫ বিঘা ধানের জমিতে আগাছা-নাশক ছিটিয়ে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে পথে বসার উপক্রম হয়েছে ওই অসহায় পরিবারটির।

রোববার সকালে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে আক্কেলপুর থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি-নওতাপাড়া গ্রামের শিক্ষানুরাগী অবসরপ্রাপ্ত সুমন্ত কুমার বসাকের ছেলে সমীর কুমার বসাক ওরফে বাদল মাস্টার স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

গত শুক্রবার রাতে বাদল মাস্টারের প্রায় দু’ বিঘা পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের প্রায় ১০/১২ মণ মাছ নিধন করা ছাড়াও পুকুর পাড়ের ২০টি ফলবান আমগাছ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও এই শিক্ষক পরিবারের প্রায় ৫ বিঘা জমিতে আগাছানাশক বিষ স্প্রে করে নষ্ট করে দিয়েছে আমন ধানের ক্ষেত। এতে প্রায় একশ মণেরও বেশি ধান নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একই গ্রামের আব্দুর রহিম, ফেরদৌস হোসেনসহ গ্রামবাসীরা জানান, দুর্বৃত্তরা এই পরিবারটির যে ক্ষয়ক্ষতি করেছে তাতে ৩/৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হবে। এতে করে আগামী দুই বছরেও পরিবারটি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে না। দুর্বৃত্তদের এমন অপকর্মে ফুঁসিয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীরা দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত সমীর কুমার ওরফে বাদল মাস্টার জানান, গত মৌসুমে পাড়া প্রতিবেশীদের দিয়েও কেটে ফেলা আমগাছগুলো থেকে সাড়ে ১১ মণ আম পেয়েছিলাম। আর পুকুরে শখ করে দেশি রুই, কাতলা, মৃগেল, মাগুর, সিং, কৈ ছাড়াও তেলাপিয়া, গ্রাস কার্ফ, সিলভার কার্ফ, ব্লাক কার্ফসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করেছিলাম। এছাড়া ৫ বিঘা আমন ধান ক্ষেতে আগাছা ও কচুরি পানা নাশক ওষুধ ছিটিয়ে দেয়াই ক্ষেতের ধানগাছগুলো মরে গেছে। এতে তার প্রায় ৪ লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে।

আক্কেলপুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কিরণ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামির নাম উল্লেখ না থাকায় তদন্ত ছাড়া কাউকে আটক করা যাচ্ছে না। তবে শিগগিরই দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

রাশেদুজ্জামান/এসএস/এমএস