ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা আতঙ্কে সাফারি পার্ক ফাঁকা

শিহাব খান | শ্রীপুর (গাজীপুর) | প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ছে চিত্তবিনোদনেও; গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে কমে গেছে দর্শনার্থী। বিশেষ করে গত সপ্তাহ ধরে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যায়।

পার্ক কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পার্কে দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৫১ হাজার ৮২২ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৫ জনে দাঁড়ায়। কিন্তু মার্চ মাসে কমতে থাকে দর্শনার্থী।

পার্কের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে দর্শনার্থী দুই লাখ অতিক্রম করলেও ২০২০ সালের মার্চে (১৫ মার্চ পর্যন্ত) ২০ হাজার দর্শনার্থীর সংখ্যা অতিক্রম করা যায়নি। মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দর্শনার্থীর আগমন বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পার্কে। পার্কের বিভিন্ন ইভেন্টে দায়িত্বপ্রাপ্তদের এখন দিনের অধিকাংশ সময় বসে থাকতে হয়। পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার প্রভাবে কমে গেছে দর্শনার্থীর সংখ্যা।

সাফারি পার্কের প্রধান ফটক চলতি বছর প্রায় তিন কোটি টাকায় ইজারা নিয়েছেন নাহিদা অ্যাডভারটাইজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নাহিদা ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহ ধরে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে শূন্যে চলে আসছে। কয়েক মাস ধরে দিনে টিকিট বিক্রি লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেলেও এখন ৫-১০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়। বিশেষ করে বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষাসফরে পার্কে আসে। কিন্তু এবার করোনার আতঙ্কে পরিস্থিতি ভিন্ন হয়ে গেল।

safari

পার্কের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট কোর সাফারি পার্ক। এখানে পাঁচটি সাফারি বাস রয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য। অধিকাংশ সময় বাসে উঠতে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেলেও এখন দর্শনার্থী কমে যাওয়ায় তিনদিন ধরে চারটি বাস বন্ধ রয়েছে।

কোর সাফারির ইজারাদার বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চারের ব্যবস্থাপক মুকুল মিয়া বলেন, মার্চ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসফর, কারখানাসহ নানা সংগঠনের বিভিন্ন মিলনমেলায় মুখরিত থাকে সাফারি পার্ক। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এখন পার্কে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। দর্শনার্থীর অভাবে অলস সময় কাটছে আমাদের।

পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আনিসুর রহমান বলেন, করোনা আতঙ্কে এখন পার্কে দর্শনাথী নেই বললেই চলে। পার্ক ও আশপাশের এলাকা এখন প্রায় দর্শনার্থীশূন্য। প্রতি বছর এ সময় পার্কে বহু জনসমাগম হলেও এবার শূন্য।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় এই বিনোদনকেন্দ্র এখন করোনা আতঙ্কে ফাঁকা। জনসমাগম এড়িয়ে চলার সরকারি নির্দেশনার কারণে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। তবে যারা আসছেন, তাদের জন্য পার্ক কর্তৃপক্ষের তরফ হতে করোনা রোধে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।

শিহাব খান/এএম/জেআইএম