ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সিলেটের হাসপাতালে ফ্রান্সফেরত প্রবাসীসহ দুজন কোয়ারেন্টাইনে

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট | প্রকাশিত: ০৬:০০ এএম, ১৬ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে ফ্রান্সফেরত এক প্রবাসীসহ দুজনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের রক্তের নমুনা সোমবার (১৬ মার্চ) ঢাকায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে দুজনকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ফ্রান্সফেরত প্রবাসী এবং অন্যজন ইতালিফেরত আত্মীয়ের সঙ্গে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা করার পর জ্বরে আক্রান্ত হন। তবে তাদের অবস্থা ভালো আছে। সোমবার তাদের রক্তের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে।

এর আগে ওই হাসপাতালে একজন দুবাইফেরত প্রবাসী ও একজন সৌদিফেরত নারীকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তবে তাদের দেহে করোনাভাইরাস না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র বলেন, হাসপাতালে ভর্তি এই দুই ব্যক্তি প্রথমে দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সেসব হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগের বিস্তারিত শুনে তাদেরকে এখানে (শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতাল) কোয়ারেন্টাইনে পাঠান। এর মধ্যে একজন ফ্রান্স প্রবাসী গত ৪ মার্চ দেশে আসেন। আসার পর থেকেই তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অন্যজন গত কিছুদিন আগে তার ইতালিফেরত আত্মীয়ের সঙ্গে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা করার পরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শনিবার চিকিৎসা নিতে গেলে তাকেও ডা. শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেট অঞ্চলে বিদেশিদের আসা যাওয়া বেশি। তাই করোনায় আক্রান্তের দিক দিয়ে সিলেট ঝুঁকিপূর্ণ। সেজন্য যারা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশ থেকে সিলেটে এসেছেন তাদেরকে জনসমাগমে না এসে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করলে সহজেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব। বিশ্ব করোনাভাইরাসে ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে এবং কোভিড-১৯ খুব দ্রুত গঠন পরিবর্তন করে বলে এর সঠিক প্রতিরোধ টিকা তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ছামির মাহমুদ/এমএসএইচ