করোনা আতঙ্কে লালন স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কুষ্টিয়ায় লালন স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। গত রোববার (৮ মার্চ) শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী লালন মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল আজ মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায়। আজ দুপুরে সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিলের খবর নিশ্চিত করেন লালন একাডেমির সদস্য সচিব ও জেলা প্রশাসনের এনডিসি মুছাব্বিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলো সংক্ষিপ্ত ও বাতিল করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় লালন স্মরণোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। আলোচনা সভা না হলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা শিল্পীরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য লালন মঞ্চে গান পরিবেশন করার সুযোগ পাবেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। করোনাভাইরাস আতঙ্কে এবার অন্যান্য বারের চেয়ে লালন মেলায় জনসমাগম অনেক কম ছিল বলে জানান এই কর্মকর্তা।
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ তার জীবদ্দশায় প্রতি দোল পূর্ণিমার রাতে ভক্ত ও অনুসারীদের নিয়ে দোল উৎসব পালন করতেন। সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে ছেঁউড়িয়ায় লালনের আখড়া বাড়িতে।
এদিকে মঙ্গলবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কুষ্টিয়ায় করোনা ভাইরাস-সংক্রান্ত হটলাইন সেবা চালু হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলার করোনাভাইরাস কন্টোল রুমের নম্বর- ০১৩১৯-৭৯৭২৩১। এই নম্বরটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা তাদের স্বজনরা এখন থেকে এ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারবেন। করোনাভাইরাসের উপসর্গ যেমন- জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসকষ্টের সঙ্গে কাশি দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ওই নম্বরে যোগাযোগ করাসহ চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার অন্য পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলায় ১০ মার্চ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আল-মামুন সাগর/আরএআর/পিআর