করোনার বিস্তার ঠেকাতে বাংলাবান্ধায় বাড়তি সতর্কতা
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় বিশেষ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকাল থেকে সেখানে ১০ সদস্যের দুটি মেডিকেল টিমের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারীসহ পণ্য আনা-নেয়ার কাজে নিয়োজিত ট্রাকচালক ও সহকারী চালকদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দুই ঘণ্টা পরপর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সোমবার (৯ মার্চ) জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় করোনা প্রতিরোধে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি, যাত্রীদের পাশাপাশি ভিনদেশি গাড়ি চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা, ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ, করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে কোনো ব্যক্তি জেলায় অবস্থান করলে তার প্রতি নজর রাখার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে পথচারীদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য জেলা শহরের ২০টি পয়েন্টে পানি ও সাবান রাখার আশ্বাস দেন পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম। এছাড়াও আধুনিক সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলোকে প্রস্তুত রাখা, কোয়ারেন্টাইনের জন্য ভবন প্রস্তুত রাখার কথা বলা হয়।
এদিকে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আগতদের জ্বর পরীক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল। এখন পর্যন্ত এই ইমিগ্রেশন দিয়ে আসা ৯ হাজারের বেশি যাত্রীর তালিকা করা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরুর ৪২ দিনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আসা কারও শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাবান্ধায় ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। ৪২ দিনে ৯ হাজারের বেশি মানুষের তালিকা করা হয়েছে। কারও শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। সন্দেহজনক মনে হলে আধুনিক সদর হাসপাতালের চার তলায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হবে।।
সফিকুল আলম/আরএআর/পিআর