ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

করোনা মোকাবিলায় রাজশাহীতে ব্যাপক প্রস্তুতি

জেলা প্রতিনিধি | রাজশাহী | প্রকাশিত: ০৩:৩২ এএম, ০৯ মার্চ ২০২০

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনই ইতালি প্রবাসী। রোববার (৮ মার্চ) এই ঘোষণা আসার পর আতঙ্ক বিরাজ করছে রাজশাহীর সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে এতে আতঙ্কিত না হয়ে মোকাবিলার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

সম্প্রতি চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। চীনসহ করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। 

করোনা চিকিৎসায় পৃথক আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। হাসপাতালের ১৬ ও ১৭ নম্বর কেবিনে খোলা হয়েছে বিশেষ এই ইউনিট। এছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তিনজন চিকিৎসকের উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের নির্দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। রামেক হাসপাতালের ১৬ ওয়ার্ড কেবিনের ২টি এবং ১৭ নং কেবিনের তিনটি বেডকে ইউনিট ঘোষণা করা হয়েছে।

রামেক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাহাবুবুর রহমান বাদশা বলেন, এটি সাধারণ ভাইরাস। সর্দি, কাশি ও অন্যান্য কারণে এ ভাইরাস ছড়ায়। এ নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা আতঙ্কিত নন। মৌসুম শেষের সাধারণ এক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করতে পারে না, মরে যায়।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য বলেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার কম। এ জন্যই এই সংক্রমক প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা।

তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল, রামেক ডেন্টাল ইউনিট ও সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতাল (আইডি), পবা উপজেলা হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোগীর চাপ বাড়লে কোনো স্কুল বা ফাঁকা জায়গায় রোগীদের নিয়ে যাওয়া হবে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতিও রাখা হয়েছে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসএইচ