ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ব্যস্ত মানিকগঞ্জের বাদ্যযন্ত্র তৈরির কারিগররা

প্রকাশিত: ০৬:৫০ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৫

আর ক’দিন পরই সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। ঢাক-ঢোলের ছন্দে জমে উঠবে দেশের পূজা মন্ডবগুলো। এ পূজাকে সামনে রেখেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ঋষিপাড়া গ্রামের বাদ্যযন্ত্র তৈরির কারিগররা।  

সরেজমিনে বালিয়াখোড়া ঋষিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়ির উঠানেই কারিগরা বাদ্যযন্ত্র তৈরি করছেন। কাঠের খুট খাট শব্দে যেন মুখর গ্রামটি। ঢাক-ঢোলের জন্য কাঠ কাটা, খোল তৈরি করা, রং দেয়া এবং চামড়া লাগাতে ব্যস্ত দেখা গেল বেশির ভাগ কারিগরদের। কারিগরদের বউ-ছেলে-মেয়েরাও সহযোগিতা করছেন এ কাজে।

Baddo

কথা হয় কারিগর বিটল দাস ও গকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তারা বলেন, পূজার আর বেশি বাকি নেই। তাই হাতে থাকা ঢাক-ঢোলগুলো বাজারে দিতেই তাদের রাত-দিন এখন সমান ব্যস্ততা। তারা জানান, একটি ঢাক বানাতে তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। খরচ পড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় একটি ঢাক।

কমলদাস ও রাজকুমার দাস নামে দুই কারিগর জাগো নিউজকে বলেন, বাদ্যযন্ত্র তৈরি করা তাদের বাব-দাদার পেশা। তারাও এ কাজের সঙ্গে জড়িত প্রায় ২৫ বছর ধরে। বছরের অন্য সময় এখানকার কারিগররা ঢোল, ঢাক, তবলা, খঞ্জনীসহ নানা দেশীয় পণ্য তৈরি করেন। কিন্তু পূজাকে সামনে রেখে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা ঢাক-ঢোল তৈরি করছেন বেশি।

তারা বলেন, আগে ব্যবসার অবস্থা ভাল ছিলো। কিন্তু বর্তমানে কাঠ, চামড়াসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন খুব একট লাভের মুখ দেখা যায় না। এর সঙ্গে প্লাস্টিক বাদ্যযন্ত্র তাদের বাজারকে আরো নষ্ট করেছে। তারপরও এ পেশা ধরে আছেন বলে জানান তারা। তবে বেশির ভাগ কারিগরের সন্তানরা এখন লেখা-পড়া করে অন্য পেশায় ছুটছেন।

Baddo-2

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আওয়াল খান জাগো নিউজকে জানান, বালিয়াখোড়া গ্রামে অন্তত্ব ২৫টি ঋষি পরিবার বসবাস করে। বাড়ি-ঘর ছাড়া তাদের বাড়তি কোনো জমি-জমা নেই। বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় বাদ্যযন্ত্র তৈরির সঙ্গে এরা জড়িত।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে যদি পৃষ্টপোষকতা করা যেত তাহলে কারিগররা যেমন ভালো থাকতো তেমনি দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের চাহিদাও পূরণ হতো এই গ্রাম থেকে। তাই এ ব্যাপারে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

বিএম খোরশেদ/এসএস/পিআর