হাতীবান্ধায় গ্রামবাসী-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১০
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একদল গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ আহত হয়েছেন। বৃস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার হাফেজ সাহেবের মাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, হাতীবান্ধা থানা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম (৪০), এএসআই আনছার আলী (৩৫), কনস্টেবল আবু সাঈদ (৩৮), কনস্টেবল গোপাল চন্দ্র (৩২)। তাদের রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, হাতীবান্ধা থেকে একটি মাইক্রোবাস দোয়ানী হয়ে রংপুর যাওয়ার পথে হাতীবান্ধার হাফেজ সাহেবের মাজার এলাকায় শিশু অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ পেয়ে ওই এলাকার গ্রামবাসী মাইক্রোবাসটি আটক করে ভাঙচুর করে। পরে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থালে গিয়ে কোনো কিছু না বুঝে গ্রামবাসীর উপর লাঠিচার্জ করেন। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশসহ প্রায় দশজন আহত হন। এ সময় মাইক্রোবাস থেকে ৩৭৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ।
সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ রাতে চারজনকে আটক করে।
আটকরা হলেন, উপজেলার সানিয়াজান গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে মাইক্রোবাস ড্রাইভার আব্দুর রহিম (২৭), সিন্দুর্না গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে মতিয়ার (২৭), উত্তর সিঙ্গীমারী গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার ছেলে সাফিউল (৩৫), মমতাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪৫), পশ্চিম সাড়ডুবী গ্রামের আ. ছালামের ছেলে রাশেদ (২২)।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান জাগো নিউজকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল মাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রবিউল হাসান/এসএস/পিআর