ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

রাজন হত্যা : আরো ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫

সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনে আরো চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ওই চার সাক্ষীদের পরে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। বুধবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে সাক্ষ্যগ্রহণ।  

সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন, রাজনের গ্রাম বাদেআলির বাসিন্দা ইশতিয়াক আহমদ রায়হান, নিজাম উদ্দিন, পার্শ্ববর্তী গ্রাম অনন্তপুরের আবদুজ জাহির মেম্বার, কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়া গ্রামের পংকি মিয়া। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় ১০ জন সাক্ষ্য দিলেন।

মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ উপলক্ষে বুধবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ১০ জন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।  এরা হলেন, শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মুহিত আলম ওরফে মুহিত (৩২), তার সহোদর আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪), চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫), টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া (২০), দুলাল আহমদ (৩০), আয়াজ আলী (৪৫), তাজউদ্দিন বাদল (২৮), ফিরোজ মিয়া (৫০), আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ (৪২) ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল (২৫)।

সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. মফুর আলী জানান, দুপুর ১২টা থেকে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন মহানগর দায়রা জজ আকবার হোসেন মৃধা বুধবার।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত জানান, মামলাটি দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে আগামী ৮, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

গত ৪ অক্টোবর আলোচিত এই হত্যা মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করেন রাজনের মা লুবনা বেগম, জিয়াউল হক, আল আমিন ও মাসুক মিয়া। তবে মাসুক মিয়া আসামিপক্ষে কথা বলা শুরু করলে বাদিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে বৈরী ঘোষণা করতে আদালতে আবেদন জানান।

এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মামলার বাদী জালালাবাদ থানার এসআই (বরখাস্তকৃত) আমিনুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসি কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জ গঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলসহ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

গত ৩১ আগস্ট সৌদি আরবে আটক কামরুলসহ পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়সীমার মধ্যে পলাতকরা আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত বিচারিক কাজ শুরুর লক্ষে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করেন।

গত ২৪ আগস্ট একই আদালত পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী পরদিন ২৫ আগস্ট জালালাবাদ থানা পুলিশ তিন পলাতক আসামিদের মালামাল ক্রোক করে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮মিনিটের ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি